Success Story: বাবা ফেরিওয়ালা, রাজমিস্ত্রির কাজ করে মাধ্যমিকে তাক লাগানো ফল, ভবিষ্যতের লক্ষ্য জানলে গর্ব হবে

Madhyamik 2025 Result: সোলেইমান নিজেও ছুটির সময় বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। আত্মীয়-স্বজনের আর্থিক সাহায্য এবং ধারদেনায় কোনো রকমে চলে দিন।

Madhyamik 2025 Result: সোলেইমান নিজেও ছুটির সময় বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। আত্মীয়-স্বজনের আর্থিক সাহায্য এবং ধারদেনায় কোনো রকমে চলে দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Success Story: মাধ্যমিকে দৃষ্টিহীন হলেও দারুন ফল .

বাবা ফেরিওয়ালা, রাজমিস্ত্রির কাজ করে মাধ্যমিকে তাক লাগানো ফল, ভবিষ্যতের লক্ষ্য জানলে গর্ব হবে

Madhyamik 2025 Result:বাবা পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় ফেরিওয়ালার কাজ করেন। এমনই  দুঃস্থ প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে আসা  সোলেইমান শেখ মাধ্যমিকে ৭০০ এর মধ্যে ৬৪৫ নম্বর পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে। ইংরেজিতে "এ+" ছাড়া সব বিষয়ে ৯০ শতাংশের বেশি পেয়ে ডবল "এ" পেয়েছে সোলেইমান। 

Advertisment

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় হতদরিদ্র এই ছেলেটি। সোলেইমানের লক্ষ্য তার মতো সমাজের প্রান্তিক মানুষের সেবা করা। সোলেইমানের বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার বারা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যেষ্ঠা গ্রামে। বাবা ইব্রাহিম খলিলউল্লা জানান, তিনি টিন ভাঙা লোহা ভাঙা ফেরি করেন। বাড়ি ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় থাকেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভাঙা টিন লোহা কেনেন। খুব কষ্ট করে সংসার চালান। বাড়িতে আছেন ৬২ বছরের বয়স্ক বাবা সারিফুল্লা শেখ। তিনিও মাঠে ঘাটে খেটে নাতির পড়ার খরচ জোগাড়  করেন। ধারদেনা ছাড়াও আত্মীয় স্বজন সাহায্য করেন। তাছাড়া ছুটিতে বাড়িতে এসে রাজমিস্ত্রির যোগাড়ের কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে সোলেইমান। 

এমন নজির সত্যিই বিরল! হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই মাধ্যমিকে অসামান্য বিজয় হতদরিদ্র দুই কিশোরের

জানা গেছে, বাড়িতে আছেন ইব্রাহিম খলিলউল্লার স্ত্রী জসিমা বিবি। তিনি গৃহবধূ। তিনিও ভাগ্যের কাছে অসহায়। অভাবের সংসার। এক ছেলে সোলেইমান শেখ ও এক মেয়ে সাবানা খাতুন। মেয়ে সাবানা খাতুন স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ে। জসিমা বিবির একটাই প্রার্থনা, ছেলে যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়।

Advertisment

সোলেইমান জানায়, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত জ্যেষ্ঠা জুনিয়র বিদ্যালয়ে পড়ে। তারপর পাঁপুড়ি আল আমিন মিশনে নবম ও দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। মাধ্যমিক দিয়ে সেখান থেকে লালবাগ আল আমিন মিশনের শাখায় ভর্তি হয় সে। সেই ক্যাম্পাস থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। তার লক্ষ্য চিকিৎসক হয়ে দুস্থ মানুষের সেবা করা। মিশনের পক্ষে নুরুল ইসলাম জানান সোলেইমান একজন প্রতিভাবান ছেলে। তার জীবনে সাফল্য সময়ের অপেক্ষা।

চাষীর মেয়ে রাজ্যে প্রথম, তাক লাগানো ফলে জেলার মুখ উজ্জ্বল করে আগামীর বিরাট লক্ষ্যে প্রাণপাত

Madhyamik 2025 Result Success Story