শনিবার বেলা গড়াতেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিটের থেকে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বগটুই গ্রামে একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজও। এই হত্যার তদন্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে সিবিআই। চলছে থ্রি-ডি স্ক্যান।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, থ্রি-ডি স্ক্যানারের মাধ্যমে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা সম্ভব। দুষ্কৃতীরা কোন পথে আগুন ধরাতে এসেছিল তাও জানা যেতে পারে। আগুন বাড়িগুলির বাইরে থেকে নাকি ভিতর থেকে লাগানো হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির আধিকারিক আমিত যোশীর কথায়, 'তদন্তের স্বার্থে দগ্ধ সব বাড়িগুলির ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। থ্রি-ডি স্ক্যানও চলছে। কীভাবে বাড়িগুলিতে আগুন ধরানো হয়েছিল তা প্রযুক্তির মাধ্যমে বলা যেতে পারে। এটা তদন্তের ডিজিটাল নথি। যা সিবিআই আদালতেও জমা দিতে পারে। এই নথি থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।'
জানা গিয়েছে, বগটুইকাণ্ডের সময় ও পরে পুলিশের ভূমিকাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এদিকে, রামপুরহাটের বগটুই হত্যার ঘটনায় দমকলের থেকেও রিপোর্ট নিয়েছে সিবিআই। ঘটনার পর দমকলের কোন কোন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তারও তালিকা নিয়েছে সিবিআই।
এ দিন তদন্তভার হাতে নিয়েই সোনা শেখের বাড়িতে বাড়ি ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিবিআই আধিকারিক ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরি বা সিএফএসএল বিশেষজ্ঞরা সোনা শেখের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়িতেই প্রথমে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, পুলিশের অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতেই বগটুই হত্য়াকান্ডে মোট ১০ টি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগানো, হিংসা ছড়ানো সহ মোট ১০ টি ধারায় ২১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।