বগটুই-কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে কাজ শুরু সিবিআইয়ের। শুক্রবার রাতেই রামপুরহাটে পৌঁছে গিয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। শনিবার সকালে DIG-CBI অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে রামপুরহাট থানা ও পরে বগটুই গ্রামে যায় সিবিআই দল।
এদিন বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে 'গণহত্যা'র তদন্ত শুরু করেছেন অফিসাররা। এদিন সিবিআইয়ের একটি দল যায় রামপুরহাট থানায়। সেখানে গিয়ে SIT-এর হাত থেকে মামলার সব নথি সংগ্রহ করেন অফিসাররা। নেওয়া হয় কেস ডায়েরি। গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিশদে সিবিআইকে জানায় সিট। এদিন সিবিআই দলের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়নারাও। পরে রামপুরহাট থানা থেকে সিবিআই দল পৌঁছোয় বগটুই গ্রামে। বগটুই গ্রামের সোনা শেখের বাড়ি থেকেই পোড়া সাতটি দেহ মেলে। এদিন প্রথমেই সেই বাড়িটি ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। একইসঙ্গে ঘুরে দেখা হয় পুড়ে যাওয়া বাকি বাড়িগুলিও।
শুক্রবারই বগটুই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। তবে গতকাল শুধুমাত্র রেইকি করেই ফিরে গিয়েছিলেন তাঁরা। শনিবার সিবিআই টিমের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ফের গিয়েছেন CFSL-এর বিশেষজ্ঞরা। পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে এদিন নমুনা সংগ্রহ বিশেষজ্ঞদের। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রামপুরহাট গণহত্যার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের।
আরও পড়ুন- ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির চেষ্টা হলে গণআন্দোলন’, বগটুইয়ে CBI নির্দেশ নিয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত সিট ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এর বাইরেও বহু অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদেরও খোঁজ চালাবে সিবিআই। উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরপরই কাজ শুরু করে দেয় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ১০টি ধারায় এফআইর দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামপুরহাটের বগটুইয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পরেই হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে। একের পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয় মোট আটজনকে। সেই ঘটনার তদন্তে সিট তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সিটের থেকে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ন্যায়বিচারের স্বার্থেই সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই কোমর বেঁধে তদন্তের কাজে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাদের আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে মামলার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।