Advertisment

বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক রামস্বরূপ, রেশন দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়

মন্ত্রীর পরিচারক রামস্বরূপের দাবি ঠিক হলে রেশন দুর্নীতি মামলায় চরম বেকায়দায় পড়তে পারেন জ্যোতিপ্রিয়!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ramswarup sharma said that Jyotipriya Mallicks name was given to him to sign on a white paper on ration scam case , জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম করেই সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর করানো হয়েছিল রেশন দুর্নীতি মামলায় বললেন রামস্বরূপ শর্মা

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও রামস্বরূপ শর্মা।

ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। বললেন, 'সাহেবের নাম করেই কয়েকজন লোক উল্টোডাঙায় আমাকে দিয়ে কয়েকটা সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল।' সাহেব বলতে কার কথা বোঝাতে চাইছেন কৃষি দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী রামস্বরূপ? জবাবে তিনি সাফ বলেন সাহেব মানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই।

Advertisment

রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর প্রাক্তন ও বর্তমানে আপ্ত সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ইডির গোয়েন্দারা। তদন্তে উঠে এসেছে যে, ভুয়ো তিনটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই ভুয়ো তিন সংস্থার একটির ডিরেক্টর জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক তথা কৃষি দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী রামস্বরূপ শর্মা। তাঁকেও পর পর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। শনিবারও ইডি দফতরে এসেছিলেন রামস্বরূপ।

আরও পড়ুন- সুদ-সিকিউরিটি ছাড়াই বালুর স্ত্রী-মেয়েকে ৯ কোটি ঋণ বাকিবুরের! ইডি-র হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইডি সূত্রে খবর, পরিচাকর তথা কৃষিদফতরের চুক্তিভিত্তির অস্থায়ী শ্রমিকের নামে কেষ্টপুরে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেটিও রেশন দুর্নীতির অর্থেই কেনা হয়েছে। আসল বিষয়টি কী? সত্যি কি তিনি একটি সংস্থার ডিরেক্টর? এ প্রসঙ্গে রামস্বরূপ বলেছেন, 'কোম্পানির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে আমার একটি ফ্ল্যাট আছে কেষ্টপুরে। আমি সাহেবের থেকে লকডাউনের আগে লোন নিয়ে এই ফ্ল্যাট করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ লাখ টাকা শোধও করে দিয়েছি। মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে এখন ঋণ শোধ করছি।'

আরও পড়ুন- অর্জুনের হঠাৎ বোধোদয়, বিজেপি থেকে পাওয়া শিক্ষা তৃণমূলকে বাতলে আত্মশুদ্ধির পাঠ!

তাঁকে দিয়ে কি কোনও দিন কেউ সাদা কাগজে সই করিয়েছিলেন? এর উত্তর দিতে গিয়েই বিস্ফোরক দাবি করে বসেন রামস্বরূপ শর্মা। বলেন, 'হ্যাঁ, সাদা কাগজে সই করেছিলাম। কিন্তু কীসের জন্য তা জানি না। যাঁরা সই করাতে এসেছিলেন, তাঁদের চিনিও না। সাহেবের নাম করে বলেছিল, আমি সই করে দিয়েছিলাম। এটা অনেক বছর আগের কথা। উল্টোডাঙায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সই করেছিলাম। বলেছিল, সাহেব পাঠিয়েছে, সই করে দিতে হবে।'

কে এই সাহেব? রামস্বরূপের অকপট জবাব, 'সাহেব মানে দাদা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।'

তাহলে কী ইডির দাবিই সত্যি হতে চলেছে? ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হত, যার মূল হোতা ছিলেন খোদ মমতা সরকারের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Jyotipriyo Mallick Enforcement Directorate Jyotipriyo Mullick Ration Scam
Advertisment