জোশীমঠে ধস ও ফাটলের ঘটনায় হাহাকার অবস্থা। ভেঙে ফেলা হচ্ছে একাধিক বাড়ি-হোটেল। একই পরিস্থিতি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমানের কয়লাখনি অঞ্চল রানিগঞ্জেরও। প্রাণ যেতে পারে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন মমতা?
মঙ্গলবার দুপুরে মেঘালয় গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মুখে জোশীমঠের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উঠে আসে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা তুলে ধরেন রানিগঞ্জে ধসের ঘটনার কথা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে। গত ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিছুই দেয়নি। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই। আজ পর্যন্ত টাকা দিল না। আমাদের যা ছিল তা দিয়েই বানিয়েছিল। কিন্তু আরও টাকা লাগবে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন।'
রানিগঞ্জ ধসপ্রবণ এলাকা। প্রচুর বেআইনি ভাবে প্রচুর কয়লা উত্তোলন হয় এই অঞ্চলে। কয়েক দশকে এই প্রথা চলে আসছে। সেই প্রথা পুরোপুরি বন্ধ না হহলে বিপদ বাড়তেই থাকবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন- বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় ফুঁসছেন মমতা! কী চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?