Rani Rashmoni-Dakshineswar Temple: বাংলার সমাজ সংস্কারে রানি রাসমণির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় মহিয়সী এই রমণীর একের পর এক নজিরবিহীন কীর্তি আজও চর্চায়। স্বামীর মৃত্যুর পর খানিকটা ভেঙে পড়লেও পরবর্তী সময়ে নিজের অদম্য জেদ এবং দৃঢ় চিত্তকে সঙ্গী করে সমাজের জন্য একের পর এক যুগান্তকারী সংস্কারমূলক চিন্তাভাবনা আপামর বাঙালি হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছেন তিনি। তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে এবার তাঁরই হাতে গড়া দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে আজ অভূতপূর্ব এক কর্মসূচির আয়োজন।
রবিবার বিকেলে দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineswar) মা ভবতারিণীর (Ma Bhabatarini) মন্দির প্রাঙ্গণে রাণি রাসমনির জীবন নিয়ে এক মহতী আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উইমেন এমপাওরমেন্ট কর্মসূচির আওতায় আজ একটি জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে।
ভারতের ধর্মীয় ইতিহাসে রানি অহল্যাবাঈ ও পুণ্যবতী রানি ভবানীর সমতুল্য গৌরবের অধিকারিণী ছিলেন বাংলার মহিয়সী মহিলা রাণি রাসমণি। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমংসদেবের (Ramakrishna) সাধনক্ষেত্রটি রাণি রাসমণির কালজয়ী এক সৃষ্টি। ১৮৫৫ সলের ৩১ মে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরটি (Dakshineswar Temple) প্রতিষ্ঠা করেন রাণি রাসমণি।
আরও পড়ুন- উদয়াস্ত খাটুনিতে নামমাত্র মজুরি! ‘আবেদন কানেই তোলেননি দিদি’, মনমরা ‘আম্মা’ এবার কোন পথে?
নিতান্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলন রাসমণি। হালিশহরের কোনা গ্রামে এক মাহিষ্য পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল হরেকৃষ্ণ দাস ও মাতা ছিলেন রামপ্রিয়া দেবী। রাসমণির পিতা ছিলেন বৈষ্ণব। জন্মের পর থেকেই নিজের ধর্মের প্রতি অগাধ আনুগত্য তৈরি হয় রানিমারও। পরবর্তী সময়ে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সহচর্য্য পান তিনি। শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি রানি মাকে দেখে বলতেন, 'রানি মা দুর্গার অষ্টসখীদের একজন।'
আরও পড়ুন- Premium: বাংলার ‘মিষ্টি-গল্প’: স্বয়ং লর্ড কার্জন খেয়ে স্বর্গীয় সুখ পেয়েছিলেন, জানুন সীতাভোগ-মিহিদানার ইতিহাস
সেই রাসমণির জীবনের নানা বর্ণময় দিক নিয়েই আজ দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য আলোচনাসভার আয়োজন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, সারদা মঠ, এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা-সহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের একাধিক শীর্ষ আধিকাকিক এদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।