নির্মল মাজির 'কালীঘাটে মা সারদা' মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। চারদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। রামকৃষ্ণ মিশন মঠ ও মিশনের তরফেও তৃণমূল বিধায়কের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। জোড়া-ফুলের দলের তরফেও সকলকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এবার মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে রানি রাসমণির ছায়া খুঁজে পেয়েছেন বলে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক।
বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানি রাসমণির মতো করে কাজ করছেন। রাণির মতো সাহসি কাজ করেই আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন দিদি। যা আগামী ১০০ বছর সকলে মনে রাখবেন।'
রবিবার বনগাঁয় তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ও রক্তদান শিবির হয়। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত বালা, একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর-সহ কয়েকশ তৃণমূল কর্মী। ওই শিবিরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রানি রাসমণির তুলনা করেন বিজেপি বিধায়ক।
বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য প্রসঙ্গে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কাছে সমস্ত মনীষীদের ঊর্ধ্বে। রানি রাসমণির যে কাজ তার ছায়া হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করে চলেছেন।'
বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেছেন, 'এগুলো শিক্ষার অভাব। আসলে মিডিয়ার প্রচারের থাকর জন্যই এসব বলছেন তৃণমূল নেতারা।'
বিশ্বজিৎ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক। পরে একুশের ভোটে বিজেপির টিকিটে বাগদা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন তিনি। যদিও দলের বঙ্গ নেতৃত্বের কাজে খুশি ছিলেন না বিশ্বজিৎ। বেশ কয়েকবার বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন। গত অগাস্টে বিধায়ক পদ না ছাড়লেও ফের জোড়-ফুলে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর বিধায়কপদ খারিজের জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইনে অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- সমাজসেবী পাপিয়া করের কর্মকাণ্ডকে কুর্নিশ! দুর্গাপুজোর থিম এবার ‘ভাগাড়ের মা’!