করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের এক সপ্তাহের মাথায় বন্দিদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হল।
কারা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, 'বন্দি ও জেলে কর্মরতর সংখ্যা মিলিয়ে রাজ্যে মোট ২৬৫ জনের সংক্রমণ হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫০ বন্দি ও বাকিরা জেলের রক্ষী, সাধারণ কর্মী। ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।'
সূত্রের খবর, সিউড়ি জেলে সব থেকে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সিউড়ি ছাড়াও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, পুরুলিয়ায় জেলে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়।
রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে করোনা পরিস্থিতি বুঝতে র্যাপিড টেস্ট কেন নয়, সেই প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, কেরালার একটি সংশোধনাগারে তথ্য তুলে ধরে তার থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের জেলগুলিতে করোনা পরিস্থিতির নজরদারি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি বলেন, কেরালার একটি জেলে একটি ওয়ার্ডে থাকা ৭০ জনের পরীক্ষা করানো হলে সেখানে ৫৯ জনের করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছে। ফলে এর ভয়াবহতা মাথায় রাখা জরুরি।
এর পরেই আদালত সরকারের কাছে সংশোধনাগারগুলিতে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চায়। এই মামলায় আদালত বান্ধব আইনজীবী অভিযোগ করেন, যত বন্দি থাকার কথা, তার দ্বিগুণ এখন জলপাইগুড়ি জেলে রয়েছেন। আবার ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, এখানকার মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাঁরা নিজের নিজের রাজ্যের জেলে বদলি চেয়ে আবেদন করেছেন। আইনে সুযোগ থাকলেও সে ব্যাপারে কোনও প্রতিকার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন আদালত বান্ধব আইনজীবী। তারপরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলে সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন