২৫ হাজার রসগোল্লা বিতরণ হল হুগলিতে

প্রত্যেকের ভাগে জুটেছে দুটো করে রসগোল্লা। কচি কাঁচা থেকে বুড়ো বুড়ি , আট থেকে আশি সবাই মেতেছে হুড়োহুড়িতে।

প্রত্যেকের ভাগে জুটেছে দুটো করে রসগোল্লা। কচি কাঁচা থেকে বুড়ো বুড়ি , আট থেকে আশি সবাই মেতেছে হুড়োহুড়িতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rasgulla

বৃহস্পতিবার চুঁচূড়ায় রসগোল্লা বিতরণ চলছে। ছবি- উত্তম দত্ত

রসগোল্লা দিবসে হাজার হাজার রসগোল্লা বিতরণ করা হল হুগলীতে। এই উৎসবে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, পুরপ্রধানও। এদিন রসগোল্লায় মাতেছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ২০১৭ -এর ১৪ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার রসগোল্লার জিআই ট্যাগ বা ভৌগলিক সূচক লাভ করে। সেই দিনটিকে স্মরণ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েন আয়োজকরা।

Advertisment

বৃহস্পতিবারের উৎসবে বিতরণ করা হয়েছে মোট ২৫ হাজার রসগোল্লা। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুঁচূড়ার ঘড়ির মোড়ে রীতিমত প্যান্ডেল বেঁধে ড্রাম ভর্তি রসগোল্লা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার প্রখ্যাত এই মিষ্টি পথচারীদের খাওয়ানো।

১৪ নভেম্বর রসগোল্লা দিবস নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলে। চর্চায় মজে আমবাঙালী। কাকতালীয়ভাবে এদিনই আবার ডায়াবেটিস দিবসও। তবে খাদ্য রসিক বাঙালীর খাওয়ার সময় এসব কথা মনে থাকে না। স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, "দুবছর আগে বাংলার  রসগোল্লা জিআইয়ের স্বাকৃতি পায়। মুখ্যমন্ত্রী রসগোল্লা দিবসের ডাক দিয়েছেন। আমরাও সামিল হয়েছি এই উৎসবে।"

Advertisment

শ্রীরামপুরের কলেজছাত্রী প্রেরণা রায় ট্রেন ধরতে ওই রাস্তা দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনি উৎসুক হয়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন উত্সব প্রাঙ্গণে । প্রেরণার কথায়, "রসগোল্লা আমার খুবই প্রিয় মিষ্টি। উৎসবে সামিল না হয়ে পারলাম না। খুব ভাল উদ্যোগ।"

এদিন প্রত্যেকের ভাগে জুটেছে দুটো করে রসগোল্লা। কচি কাঁচা থেকে বুড়ো বুড়ি , আট থেকে আশি সবাই মেতেছে হুড়োহুড়িতে। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শৈবাল মোদক বলেন, "দুবছর আগে শেষ হাসি হেসেছিল আমাদের রাজ্যই, তাই আমরা সারা রাজ্যে আজকের দিনটা রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করছি। তাই এই আয়োজন।"

West Bengal