Netai Genocide: নেতাই গণহত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন। প্রায় ১০ বছর পর জামিন পেলেন এই সিপিআইএম নেতা। এতদিন তিনি বিচারাধীন বন্দি হিসাবেই জেসবন্দি।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ৯ গ্রামবাসী। জখম হন ২৮ জন। সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীদের অত্যাচার ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে মিছিলে মেনেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময়ই তাদের ৃউপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের মিছিলের সময় লালগড়ের নেতা রথীনের বাড়ি থেকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তাতেই ঝাঁঝরা হয়ে যায় শিশু ও মহিলা সহ ৯ গ্রামবাসী। ওই ঘটনার পর বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কাঠগড়ায় তোলা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রশাসনকে।
নেতাইয়ের গণহত্যার পর প্রথমে ওই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডি-র কাছে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই ঘটনায় সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা, কর্মী গ্রেফতার হন। বছর খানেক আগে জামিন পান ওই গণহত্যা মামলায় ধৃত এক মাত্র মহিলা আসামী ফুল্লরা মণ্ডল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জামিন পেয়েছেন গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে-ও। জামিনের তালিকায় এবার যুক্ত হলেন রথীন দণ্ডপাত।
কেন এই জামিন? উচ্চ আদালত সূত্রে খবর- নেতাই মামলায় ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে, তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।