রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। বাড়িতে প্রায় ২১ ঘন্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। ইডি-র দাবি, এই দুর্নীতির নেপথ্যে জড়িত বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি-র অভিযানের সময় রেশন দুর্নীতিতে জড়িত বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দি অধিকারী। এঁদের মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা আব্দুল মালেক। এই ব্যক্তি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও তাঁর প্রায়ই কলকাতার খাদ্য ভবনে যাতায়াত ছিল বলে দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। রেশন দুর্নীতি সমন্ধে কী জানেন আব্দুল মালেক? তা নিয়েই শনিবার বর্ধমানে মুখ খুলেছেন মালেক।
বাম আমল থেকেই বিরাট প্রভাব আব্দুল মালেকের। ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর উত্থান করেট গতিতে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত দহরম-মহরম সর্বজনবিধিত। ক্রমেই পশ্চিমবঙ্গের রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্তা হয়ে যান মালেক। রেশন দুর্নীতির তদন্ত মাথাচাড়া দিতেই এই অব্দুল মালেক শুভেন্দুর নেক-নজরে পড়েছেন।
শনিবার আব্দুল মালেককে তার রাধানগর এলাকার বাসভবনে দেখা যায়। কেন বাড়ে বাড়ে দুর্নীতির দায়ে আব্দুল মালেকের ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু? জবাবে পশ্চিমবঙ্গের রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্তা বলেন, 'এর আগেও শুভেন্দুবাবু বর্ধমানে এসে আমার নামটা উল্লেখ করেছেন। তার কারণ জানা নেই। হয়তো কারোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েই উনি আমার নাম করছেন।'
তবে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে নিজের ভাল সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মালেক। বলেছেন, 'আমার সহ্গে অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী হওয়ায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক ভালই। আর সংগঠনের নেতা হিসেবে তো আমি অনেকবার নানা কারণে খাদ্য দফতরে গিয়েছি।'
দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে বালু। ভয় পাচ্ছেন মালেক? এবার মালেকের মুখ থেকে নীতিকথা বেরলো। বললেন, 'আমার যদি কোনও কালিমালিপ্ত হওয়ার মত কাজ থেকে থাকে তবে কালিমালিপ্ত হব, না হলে কালিলেপা যাবে না। যত চেষ্টাই হোক তা সফল হবে না।'