হাওড়া সাঁকরাইলের ১৫টি সহ রাজ্যের মোট ২০টি বুথে ফের পঞ্চায়েত ভোটের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এইসব বুথে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু ভোটের দিন এই ২০টি বুথেই ভোট লুঠ, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই বিডিও-র রিপোর্টের ভিত্তিতে সাঁকরাইলের ১৫টি সহ উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ও সিঙ্গুরে আবারও পঞ্চায়েত ভোটের নির্দেশ দিলেন কমিশনার রাজীব সিনহা।
যে ২০টি বুথে ফের নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল- হাওড়ার সাঁরকাইলের মানিকপুর দর্জিপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সাতটি বুথ, রশ্মি মহল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের একটি বুথ, সারেঙ্গা হাইস্কুল ও পল্লিশ্রী পাঠাগারের কয়েকটি বুথ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার-২ ব্লকের চারটি বুথ ও সিঙ্গুরের একটি বুথ।
তবে, এই ২০টি বুথে যে ভোটগ্রহণ হবে তা পুনর্নিবাচন নয়। কমিশনার জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী নতুন করে ভোট নেওয়া হবে ওই ১৫টি বুথে।
আরও পড়ুন- ‘কারচুপি শিল্পে’ই বাজিমাত তৃণমূলের, ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর
কমিশনের এদিনের নির্দেশের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'ঠ্যালায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। আমরা আদালতে আবেদন জানিয়েছি। আইনজীবীরা সওয়াল করবেন। এর শেষ দেখে ছাড়তে চাই।'
পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ জানিয়েছে যে, জমা পড়া অভিযোগের নিরিখে কমিশন কী ভূমিকা পালন করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তার উপরই নির্ভর করছে বিজয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। বিডিও ও ভোট কর্মীদের কাছেও কৈফিয়ত তলব করছে আদালত। পর্যবেক্ষকদের মতে, উচ্চ আদালতের কড়া অবস্থানের পরই স্বচ্ছতা প্রমাণে মরিয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন।