টাকার পাহাড়, তাল-তাল সোনা, মুঠো-মুঠো রুপো তো মিলেছেই, এবার 'ক্যাশ কুইন' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটে মিলেছে ২টি রিয়েল এস্টেট সংস্থার নথিও। তবে কি এসএসসি-তে চাকরির নামে তোলা টাকা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল? সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত এগোচ্ছে ইডি।
এসএসি দুর্নীতির পরতে-পরতে রহস্য। পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতির শিকড় যে কতটা গভীরে পৌঁছেছে তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না দুঁদে ইডি অফিসাররাও। রাশি-রাশি টাকা, সোনা, হীরে, রুপো মিলেছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে।
এবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে মিলল রিয়েল এস্টেট সংস্থার নথি। ২টি সংস্থার নথি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এতেই দানা বেঁধেছে আরও রহস্য। অভিযোগ, এসএসসির মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে বস্তা-বস্তা টাকা তোলা হয়েছিল। তবে কি সেই টাকাই ঘুরিয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় কাজে লাগানো হয়?
আরও পড়ুন- ‘টাকার পাহাড় তাঁরই’, এহেন পার্থই ভোটের হলফনামায় ‘সাদামাটা’, নেই বাড়ি-গাড়ি-ফ্ল্যাট-গয়না
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে দুর্নীতির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করছেন ইডি অফিসাররা। তবে ইডি আধিকারিকদের মতে ওই ২টি সংস্থাই ভুয়ো হতে পারে। ২০১৭ সালে ওই দুটি কোম্পানি তৈরি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- পার্থ ছাঁটাই, কোন ছকে ফিরবে তৃণমূলের ভাবমূর্তি?
এবার এই রিয়েল এস্টেট সংস্থার নথি উদ্ধার নিয়েও জেরা চলবে দু'জনকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডির অফিসাররা। পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতির জাল পার্থ-অর্পিতা ছাড়াও আর কে কে বুনেছিলেন তা জানতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রের এই সংস্থা।