তিনদিনের মধ্যেই দলের শো-কজ নোটিসের জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। সূত্রের খবর, গত শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে শো-কজ করে চিঠি পাঠান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তবে সময়ের আগেই জবাব দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি তিন দলই করেছেন তিনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর খুব একটা বিদ্রোহ চোখে পড়েনি। তবে শাওনী সিংহ রায়কে জেলা সভাপতি করার পর থেকে বেঁকে বসা শুরু করেন হুমায়ুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে অন্তোষ থেকে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করা, শেষমেশ শোকজ পেয়ে নয়া দল গড়ার হুমকি বিদ্রোহী নেতার।
আরও পড়ুন তৃণমূলের অফিসেই দুর্নীতির আখড়া চালাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’, চার্জশিটে শোরগোল ফেলা দাবি ইডি-র
গত সপ্তাহে তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়কে ফোন করে বিধানসভায় হুমায়ুনের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। বিধানসভার কোন কোন কমিটিতে হুমায়ুন রয়েছেন তা সুব্রতকে জানিয়েছিলেন তাপস।
বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হলেই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় করছিলেন সুব্রত বক্সি। কিন্তু গত শনিবার আচমকাই শো-কজ নোটিস পাঠানো হয় ভরতপুরের বিধায়ককে। বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের কারণে কলকাতায় রয়েছেন হুমায়ুন। মঙ্গলবার অধিবেশনের কাজকর্ম শেষ করেই পার্ক স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলে গিয়ে নোটিসের জবাব তৈরি করে রাতে তৃণমূল ভবনে জমা দিয়ে আসেন বলে সূত্রের খবর। এ বিষয়ে, হুমায়ুন বলেছেন, “দল আমার থেকে যে যে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল তা সব কিছুই জানিয়েছি। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করব না।”