ঘুরতে ভালবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কয়েক বছর ধরে বাঙালি তথা রাজ্যের বেশিরভাগ ভ্রমণপ্রিয় মানুষের দু’-তিন দিনের ছুটি কাটানোর জায়গায় তালিকায় প্রথমে রয়েছে দিঘা। তবে করোনা পরিস্থিতি সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছিল। এই বছর করোনা সংক্রমণ কমতেই নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে দিঘায় উপচে পড়ছে। তবে রমজান মাসের পর আরও ভিড়ের আশা করছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা।
Advertisment
এব্যাপারে নিউ দিঘায় এক হোটেল ব্যবসায়ীর কথায়, "গত দুবছর বাঙালির নতুন বছর কেটেছিল ঘরে বসেই। করোনার রেশ কিছুটা কাটতেই নতুন বছর উপভোগ করতে নেমে পড়েছেন ভ্রমণপিপাসু বাঙালি"।
গরম থেকে রেহাই পেতে স্নানে মেতে উঠেছে সাধারণ মানুষ
বর্ধমান থেকে দিঘায় সপরিপারে বেড়াতে এসেছেন নন্দিনী সামন্ত। তাঁর কথায়, "নতুন বছর উপলক্ষে দিঘা ঘুরতে যাওয়া বাঙালির একটা ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। করোনার কারণে সেই ট্রেন্ডে ছেদ পড়েছিল মাঝের দুবছর। এই বছর সেভাবে করোনার দাপট না থাকায়, সপরিবারে দিঘায় ঘুরতে এসেছি। এত মানুষকে দিঘায় দেখে খুব ভাল লাগছে। চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করছি"।
Advertisment
দিঘায় অপর এক হোটেল ব্যবসায়ী বিপুল ঠাকুর বলেন, "নববর্ষের প্রথম তিনদিন শুক্র, শনি এবং রবিবার প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে দিঘায়। যারা প্রথম তিন দিনে আসতে পারেননি তাঁরা চলতি সপ্তাহে দিঘায় ভিড় করেছেন।"
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ জন নতুন বছরের আনন্দকে চেটে পুটে উপভোগ করতে দিঘায় ভিড় জমিয়েছেন।
এই ভিড় দেখে ওল্ড দিঘার এক হোটেলের মালিক বলেন, "প্রায় দু’বছর পর এবারে হোটেল সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে গিয়েছে। করোনার জন্য প্রচুর লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। মনে হচ্ছে এবার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।’ লকডাউনের জেরে দু’বছর ধরে দিঘা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পর্যটকেরা। আমরা আশাবাদী রমজান মাস শেষে ভিড় দ্বিগুণ বাড়বে। ইতিমধ্যেই আমাদের হোটেলের প্রায় সব রুম বুকিং হয়ে গিয়েছে"।
কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ জন নতুন বছরের আনন্দকে চেটেপুটে উপভোগ করতে দিঘায় ভিড় জমিয়েছেন। দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের হোটেলগুলিতেও উপচে পড়ছে ভিড়।
রাতের ওল্ড দিঘায় জনপ্লাবন
ভিড়ে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্র সৈকতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সকালের দিকে সমুদ্রে জোয়ার থাকায় সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। ওল্ড, নিউ–সহ সমগ্র দিঘায় কড়া নিরাপত্তায় মোড়া। যেভাবে পর্যটকরা দিঘামুখী হয়েছেন তাতে বাড়তি নিরাপত্তা নিতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।