পৈতৃক বাড়ির পাশাপাশি ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ক্লাবটাউন আবাসনের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি-র গোয়েন্দারা। রীতিমত দরজার তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপরই ওই আবাসনের ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাট থেকে টাকার হদিশ মিলে। এসবিআই-য়ের হেড অফিস থেকে আনা হয় চারটে টাকা গোনার মেশিন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নগদ ২০ কোটি উদ্ধার হয়েছে। তবে গোনার কাজ শেষ কিনা এখনও জানা যায়নি। ইডি সূত্রে খবর এছাড়াও, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর সোনা, রূপোর কয়েন ও দলিল মিলেছে। আবাসনের ২ নম্বর ব্লকের ২-এ ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।
গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি আবাসনের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ২১ কোটির বেশি টাকার খোঁজ মিলেছিল। পাওয়া যায়, গয়না, বিদেশি মুদ্রা, সরকারি স্ট্যাম্প লাগানো খাম সহ নানা নথি। টুইট করে সেই ছবি প্রকাশ করেছিল ইডি। তবে এ দিন এখনও পর্যন্ত ক্লাবটাউন আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদের পরিমাণ ২০ কোটি বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে খবর।
শেষ পর্যন্ত ক্লাবটাউন আবাসনের ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাট থেকে কত টাকা উদ্ধার হয়, তা নিয়ে কৌতুহল দানা বাঁধছে।
আরও পড়ুন- ‘আমার পাড়াতেও ঘুরছে, বাড়ি তো সবাই চেনে, আয় না’, কীসের ইঙ্গিত মমতার?
বেলঘরিয়ার আবাসনের দুটি ফ্ল্যাট ছাড়াও এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় তিনটি গাড়িতে আসেন ইডি আধিকারিকরা। সেই সময় ওই বাড়িতে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে নিচে নেমে যেতে বলেন গোয়ন্দারা। শুরুতে নিচে নামতে নিমরাজি ছিলেন অর্পিতার মা। যদিও পরে এক আধিকারিক তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন। কেন তল্লাশিতে বাধা দিয়েছিলেন অর্পিতার মা? বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ইডির গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন শুধু তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। সেক্ষেত্রে দোতলায় বসেই তা সম্ভব ছিল। পরে তল্লাশির কথা গোয়েন্দার জানালে আস্তে আস্তে একরোখা মনভাব ছেড়ে নিচে নেমে আসেন মিনতীদেবী। মেয়ের কোনও কাজই তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন- অর্পিতার ফ্ল্যাটে ফের ‘যকের ধন’, রে-রে করে ঝাঁপালেন শুভেন্দু-দিলীপ
এছাড়া, বালিগঞ্জ প্লেসের একটি আবাসনেও ইডি গোয়েন্দারার এ দিন হানা দিয়েছেন।