scorecardresearch

বিরাট ‘দুর্নীতি’! পরীক্ষা না দিয়েই কলেজে চাকরি সুজনের স্ত্রীর? পর্দাফাঁস তৃণমূলের

লক্ষ্মীবারের বারবেলাতেই মিলিদেবীর চাকরির জয়েনিং লেটার প্রকাশ্যে, দাবি তৃণমূলের।

recruitment scam sujan mili chakraborty tmc , বিরাট 'দুর্নীতি'! পরীক্ষা না দিয়েই কলেজে চাকরি সুজনের স্ত্রীর? 'পর্দা ফাঁস' তৃণমূলের
পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের।

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে, কারাবন্দি শিক্ষা দফতরের আধিকারিক, দলের দুই যুব নেতা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা বাম আমলে চিরকুটে চাকরিকে হাতিয়াড় করেছে জোড়-ফুল শিবির। আর সেই আক্রমণের মাত্রা চড়াতে এবার সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরির নিয়োগকে তুলে ধরল তৃণমূল। দলের টুইটার হ্যান্ডলারে শাসক শিবিরের দাবি, কোনও পরীক্ষায় পাস না করেই দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপারের পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন মিলিদেবী।

তৃণমূলের তরফে পোস্ট করা টুইটে লেখা, ‘চাকরি কেলেঙ্কারি ফাঁস! প্রাক্তন সিপিআই(এম) বিধায়কের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কখনও কোনও পরীক্ষা পাস করেনি কিন্তু ৩৪ বছর ধরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে ৫৫ হাজার টাকা মূল বেতন সহ অবসর গ্রহণ করেন এবং পেনশন উপভোগ করেন। আসল গল্প হল সিপিআই(এম)-এর ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের শেষ নেই!’ এই টুইটের সঙ্গেই রয়েছে কলেজের অধ্যক্ষকে মিলি চক্রবর্তীর সাক্ষর করা একটি চিঠি। যেখানে নিজের জয়েনিং নিশ্চিৎ করেছেন তিনি।

শাসক দলের টুইটে প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটারটি তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ, ১৯৮৭ সালের ১লা অগস্ট গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপারের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিলিদেবী।

এই টুইট পোস্টের এক ঘন্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘চিরকুটে চাকরি গ্রহণ করেছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কোনও পরীক্ষা ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে সিপিআইএম নেতার স্ত্রীকে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে তৃণমূলের তরফে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। বাম আমলে কোন নেতা, মন্ত্রীর আত্মীয়রা এভাবে চাকরি পেয়েছেন তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সিপিআইএম।’ কুণালের সাফ ঘোষণা, ‘এই আমলে দুর্নীতি, অন্যায় হলে শাস্তি হবে। কিন্তু, এটা প্রমাণ হচ্ছে যে বাম আমলেও নিয়োগে দুর্নীতি ছিল। তাই তৃণমূল পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করবে যে এই সিপিআইএম চোর।’

তৃণমূল তাঁর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই সিপিআইএমের এই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘আমি বুঝলাম না এই চিঠি দিয়ে ওরা কী বোঝাতে চাইল, আমার স্ত্রী তো চাকরি করতেন। নিয়মের মধ্যেই পেনশন পান। এটা তো জয়েনিং লেটার। কোনও সুপারিশপত্র তো নয়। তৃণমূলের হোমওয়ার্কটা কম হয়ে গিয়েছে।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Recruitment scam sujan mili chakraborty tmc