রাজ্যে আসতে চলেছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা চলাকালীন সওয়াল জবাবের মাঝেই জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ, কমিশনের দাবি মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই এক দফায় হবে পঞ্চায়েত ভোট। সুরক্ষার স্বার্থে তাই আর ভোটের দফা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এর আগে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মঞ্জুর করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশেই আস্থা রেখেছিল কমিশন। কিন্তু বিগত দু'টি পঞ্চায়েত ভোটের ভয়ঙ্কর স্মৃতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। মামলা হয় আদালতে। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর ২২ জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সময় আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে বাংলায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা মাত্র ১৮৯।
এরপরই রাজ্য নির্বাচনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। সেই মামলায় নির্দেশ ছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মতো অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশ ঠিকমতো মানছে কিনা তা হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা পেশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেই উল্লেখ, পঞ্চায়েত ভোটে মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। এর মধ্যে ৭.৮৪ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। অর্থাৎ স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪,৮৩৪।
হঠাৎ কীভাবে একধাক্কায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বিপুল পরিমানে বেড়ে গেল? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতে, পরিস্থিতির প্রতি মুহূর্তে এবং দফায় দফায় মূল্যায়নের ফলে এভাবে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বেড়েছে।
ভোটের বাকি আর মাত্র দিন চারেক। তার আগে কবে বাড়তি বাহিনী এসে পৌঁছবে রাজ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাহিনী বুথের মধ্যে সুরক্ষার কাজে থাকবে না। মূলত, রুট মার্চ করে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি দূর করা, সীমান্ত ও সামীনা রক্ষা, নাকা চেকিংয়ের কাজ করবে।