হাসপাতালে যুদ্ধের আপাতত ইতি। এবার আরও বড় যুদ্ধের মুখোমুখি কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়ায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কব্জি কাটার অভিযোগ উঠেছে। দোষ কবুলও করেছে সে। রেণু এদিন দুর্গাপুরের নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পেলেন। গেলেন পূর্ব বর্ধমানে দিদির বাড়িতে। সাফ জানালেন শ্বশুর বাড়িতে আর ফিরবেন না। আর যে মেয়েরাই অত্যাচিত হচ্ছেন তাঁরা যেন রুখে দাঁড়ান।
Advertisment
ডান হাতের কব্জি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন রেণু খাতুন। কিন্তু, দমে থাকেননি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই বাঁ হাতে লেখালেখির চেষ্টা চালিয়েছেন। এরমাঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, রেণুর সরকারি চাকরি বহাল থাকছে। চিকিৎসার খরচও সরকারের। এতে আরও অণুপ্রাণিত হন রেণু।
সোমবার দিদির বাড়ি যাওয়ার আগে রেণু বলেছেন, 'একটা যুদ্ধ জিতেছি। বাড়ি ফিরছি। খুব ভাল লাগছে। সুস্থ হলেই আমি চাকরিতে যোগ দেব। তিন মাস পর কৃত্রিম হাতও লাগাব।'
Advertisment
রেণুর ইচ্ছা তাঁর মতোই যাঁরা নির্যাতিতা তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর। বলেছেন, 'যাঁরা আমার মতোই নির্যাতিতা তাঁরা রুখে দাঁড়ান। তাঁদের পাশে আমি থাকবো। এটা আমার কাছে এক অন্য একটা লড়াইয়ের ক্ষেত্র হবে।'
এ দিনও মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশানের ভূয়সী প্রশাংসা করেন রেণু। বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। সকলকে ধন্যবাদ।'