বিরোধীদের দাবি পুরোপুরি না-মানলেও 'প্রহসনের নির্বাচন'-এর কলঙ্ক মুছতে মরিয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবারই তাই রাজ্যের বিভিন্ন বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায়। মোট ৬৯৬টি বুথে পুনরায় নির্বাচন করানো হচ্ছে। তারমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। তবে, বিরোধীদের দাবি, শনিবারের ভোটে যে হারে ছাপ্পা, রিগিং ও সন্ত্রাস হয়েছে। যা হয়েছে, সেটা আসলে 'প্রহসনের ভোট'। তাতে অত কম বুথে পুনর্নির্বাচন করে কোনও লাভ নেই। অন্তত ১০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কমিশনকে পুনরায় স্বচ্ছ নির্বাচন করাতে হবে। যদিও শ্যাম রাখি না-কূল, এই পরিস্থিতিতে পড়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই দাবি মানতে নারাজ।
শনিবার রাজ্যে একদিনের পঞ্চায়েত ভোটে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবাধে ভোট লুঠ, ব্যালট বাক্স নষ্ট, বুথ দখল, হিংসা, গুলিচালনা, বোমাবাজি তথা এককথায় অরাজকতার অভিযোগ উঠেছে ভোট ঘিরে। তারপরই বিরোধীরা দাবি করেছেন, সমস্ত বুথে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ ও ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে। সেইমতো যেসব বুথে অরাজকতা হয়েছে, সেখানে পুনরায় নির্বাচন করাতে হবে। সেই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল কমিশন। তারপর নাম-কা-ওয়াস্তে কয়েকটি বুথে পুনরায় নির্বাচন করিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভ শান্ত করতে চান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।
তার পাশাপাশি, ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছেছিল ৬৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর শনিবার সন্ধ্যা এবং রবিবার সকালে আরও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছয়। সেই সব বাহিনীকে পুনর্নির্বাচনের কাজে লাগানো হবে বলেই কমিশন জানিয়েছে। একইসঙ্গে, রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ভোট পড়েছে ৮০.৭১ শতাংশ।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার জের! দিল্লির পথে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৪.৭৯ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের তথা বর্তমানে কাজল শেখের তত্ত্বাবধানে থাকা বীরভূম। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৩.১৮ শতাংশ। তারপর বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮২.৫৯ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে ভোট পড়েছে ৮২.৪৭ শতাংশ।