আদালতের রায়ে বাতিল হচ্ছে হাজার হাজার 'অযোগ্য'দের চারকি। এদিকে 'যোগ্য' শিক্ষক চাকরি পার্থীদের আন্দোলন ২ বছর অতিক্রান্ত। অস্বস্তি বাড়ছে সরকার ও রাজ্যের শাসক দলের। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার আলিপুর আদালতে বলেন, ' আমি যদি অন্যায় করি, আপনারা গালে দুটো চড় মারুন। আমি কিচ্ছু মনে করব না। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!' তারপরই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের উদ্দেশ মমতা বলেছিলেন, 'আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন। এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। যারা অন্যায় করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু একটা সুযোগ তো দিন। এমন অন্তত ব্যবস্থা করুন যাতে তারা আবার পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইসব বক্তব্য আদালত আবমাননার শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে যখন 'অযোগ্য'দের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মমতা এমন মন্তব্য কেন করলেন? সেই প্রশ্ন তুলে স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা করার আর্জি জানান সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তবে তাঁর আর্জিতে সায় দেয়নি বিচারপতি টি এস শিবগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ ছিল- 'কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার শুনানির বদলে ভাল যদি কোনও মামলকারী এ বিষয়ে আবেদন করেন।' তার পরই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ, 'মামলা দায়ের করুন।' বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এ বিষয়ে হলফনামা দাখিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আবেদন, তাই অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নোটিস দেওয়ার কথা বলেছে আদালত।
চাকরি নিয়ে মমতার মন্তব্যে বিতর্ক! হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলার আর্জি
মুখ্যমন্ত্রীর কোন মন্তব্য আদালত অবমাননা বলে মনে করছেন মামলাকারী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য?
Follow Us
আদালতের রায়ে বাতিল হচ্ছে হাজার হাজার 'অযোগ্য'দের চারকি। এদিকে 'যোগ্য' শিক্ষক চাকরি পার্থীদের আন্দোলন ২ বছর অতিক্রান্ত। অস্বস্তি বাড়ছে সরকার ও রাজ্যের শাসক দলের। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার আলিপুর আদালতে বলেন, ' আমি যদি অন্যায় করি, আপনারা গালে দুটো চড় মারুন। আমি কিচ্ছু মনে করব না। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!' তারপরই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের উদ্দেশ মমতা বলেছিলেন, 'আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন। এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। যারা অন্যায় করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু একটা সুযোগ তো দিন। এমন অন্তত ব্যবস্থা করুন যাতে তারা আবার পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইসব বক্তব্য আদালত আবমাননার শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে যখন 'অযোগ্য'দের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মমতা এমন মন্তব্য কেন করলেন? সেই প্রশ্ন তুলে স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা করার আর্জি জানান সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তবে তাঁর আর্জিতে সায় দেয়নি বিচারপতি টি এস শিবগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ ছিল- 'কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার শুনানির বদলে ভাল যদি কোনও মামলকারী এ বিষয়ে আবেদন করেন।' তার পরই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ, 'মামলা দায়ের করুন।' বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এ বিষয়ে হলফনামা দাখিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আবেদন, তাই অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নোটিস দেওয়ার কথা বলেছে আদালত।