আগামী বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। সোমবারই ক্যাবিনেট বৈঠকের পর ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ, ইডির হাতে তাঁর গ্রেফতারির পর মমতা মন্ত্রিসভা ও তৃণমূলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই রদবদলের পদক্ষেপ। কিন্তু আদৌ কী এতে ভাবমূর্তি ফিরবে? এ দিন এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়।
কী বলেছেন মুকুল রায়?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা রদবদল প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় বলেন, 'দরকার হলে তবেই মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তিনিই বলতে পারবেন, কী দরকার হয়েছে।' মন্ত্রিসভার রদবদল করে কি বাস্তবে ভাবমূর্তি বদলানো সম্ভব? জবাবে মুকুল বলেন, 'ভাবমূর্তির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ভাবমূর্তি এ সবের উপর নির্ভর করে না। ভাবমূর্তি নির্ভর করে ভাবমূর্তির ওপরেই।'
রদবদল প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি মুকুল রায়। তবে যতটুকু বলেছেন তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। একাংশের দাবি, অসংলগ্ন কথা বলেছেন রায় সাহেব। অনেকেই আবার মনে করছেন পোড় খাওয়া এই রাজনীবিদের কথায় রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে বোলপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুকুল রায় বলেছেন, 'তৃণমূল মানেই বিজেপি, বিজেপি মানেই তৃণমূল।' সেই সময় বিজেপি বিধায়কের ওই মন্তব্যে জোর চর্চা হয়। তবে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিধায়কের শীরিক অসুস্থতা থাকায় অসংলগ্ন কথা বলেছেন।
তবে একদা সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মুকুল রায়। বলেছেন, 'এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি দেখিনি, জানিনা, তাই মন্তব্য করতে পারব না।'