scorecardresearch

নেতা-মন্ত্রীতে আর ভরসা নেই! চাঁদা তুলে রাস্তা সারাচ্ছেন বাসিন্দারা

প্রশাসনকে হাজারো বলেও কোনও কাজ হয়নি। দায়সারা মন্তব্যে দায় এড়িয়েছেন বিডিও।

Rampurhat_Rasta-5
ছবি- আশিস মণ্ডল

ফিতে কাটা হয়েছে ঘটা করে। হয়েছে মিষ্টি মুখ। কিন্তু আজও রাস্তা চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠেনি। বাধ্য হয়ে চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারে হাত লাগালেন গ্রামবাসীরা। যদিও বিডিও-র দাবি, রেলের অনুমতি না-মেলায় রাস্তা নির্মাণ করা যাচ্ছে না।

ছবি- আশিস মণ্ডল

বীরভূম–মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী গ্রাম সালিসন্ডা, কুমারসন্ডা। বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ন-পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাপুর রেলগেট থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম সীমান্তবর্তী সালিসন্ডা, চার কিলোমিটার রাস্তা। রেললাইনের ধার দিয়ে ওই রাস্তা চলে গিয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে মাটি ফেলা হলেও সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। কারণ অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত। কোনও বধূর প্রসব যন্ত্রণা হলে রাস্তাতেই প্রসব হয়ে যায়। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতর ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার জানিয়েও হয়নি রাস্তা সারাই।

ছবি- আশিস মণ্ডল

তাই এবার চাঁদা তুলে রাস্তা সারাই শুরু করলেন গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় পাথরের গুঁড়ো ফেলে রাস্তা সারাই করতে থাকেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা সানাউল হোক, টিটন শেখ, রতন শেখ, রেজাউল শেখরা বলেন, ‘বছর দুয়েক আগে ঘটা করে রাস্তা সংস্কারের জন্য ফিতে কাটা হয়। নেতা মন্ত্রীরা মিষ্টি মুখ করেন। কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয়নি। অথচ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।’

ছবি- আশিস মণ্ডল

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, ‘ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার আটটি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হবে। সেকথা মাথায় রেখেই আমরা চাঁদা তুলে পাথরের গুঁড়ো কিনে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছি।’

ছবি- আশিস মণ্ডল

পঞ্চায়েত প্রধান এমদাদুল ওই রাস্তা করতে না-পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে মাঝে মধ্যে পাথর গুঁড়ো ছড়াই। কিন্তু, সেটা পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি জেলা পরিষদ, বিধায়ক, সাংসদদের জানিয়েছি। একাধিকবার নির্মাণ খরচের তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গ্রামবাসীরা একবার পালস পোলিও বয়কট করেছিলেন। সে সময় বিডিও গ্রামে গিয়ে রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে কোনও কাজ হয়নি।’

আরও পড়ুন- ভারতীয় বিমান চলাচলে এবার নতুন ঢেউ, অনেকগুলো বিমান কিনছে এই ভারতীয় সংস্থা

বিডিও হুমায়ুন চৌধুরি বলেন, ‘আমরা বর্ষার সময় কিছু পাথরগুঁড়ো দিয়ে গর্ত বন্ধ করি। রেল ওই জায়গায় আমাদের রাস্তা করার অনুমতি দেয়নি। তাছাড়া ওই জায়গায় রেল তৃতীয় লাইন পাতবে বলে জেনেছি। তাই রাস্তা করা যাচ্ছে না।’ গ্রামবাসীদের স্বেচ্ছাশ্রম প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, ‘গ্রামবাসীদের প্রয়োজন। ফলে তাঁরা নিজেরাই করে নিচ্ছেন। ভালো উদ্যোগ।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Residents are repairing the roads by collecting subscriptions