/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/11/ePHsKMHigakm9a6RePx5.jpg)
illegal construction: এই পুকুরটিই ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।
পুকুরের উপর বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হলেন এলাকার মানুষ। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে নির্মাণ কাজ আটকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারাই। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় প্রায় তিন বিঘা একটি পুকুর রয়েছে। স্নান-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে বাসিন্দারা এই পুকুরটি ব্যবহার করেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে হঠাৎই পুকুরের জল সেচ করে বের করে দেওয়া হয়। তারপর পুকুরের একাংশে বেআইনি ভাবে শুরু হয় কংক্রিটের নির্মাণ।
দ্রুত ওই নির্মাণ বন্ধের দাবিতে পুরসভায় ‘মাস পিটিশন’ দেন এলাকার বাসিন্দারা। বেআইনি কাজ বন্ধের জন্য থানারও দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু অভিযোগ, পুরসভার নির্দেশের পরেও কাজ বন্ধ হয়নি। দিনের বদলে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কাজ শুরু হয়। এরপরেই রাত পাহারার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত শুক্রবার থেকে রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার মহিলা-পুরুষেরা।
স্থানীয় SUCI কাউন্সিলর পাঁচুগোপাল মিস্ত্রি বলেন, “পুরসভা নোটিস দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশও এসে বারণ করে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কাজ হচ্ছে। পুলিশ ঘুরে চলে গেলেই ওরা আসছে। তাই এলাকার বাসিন্দারাই পালা করে রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এত কিছুর পরেও কীভাবে, কাদের মদতে কাজ হচ্ছে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।” ওই এলাকার বাসিন্দা তথা জয়নগর-মজিলপুরের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান প্রবীর বৈদ্য বলেন, “কাজ বন্ধ করতে হবে এবং যেটুকু নির্মাণ হয়েছে, তা ভেঙে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।”
স্থানীয় বাসিন্দা অর্পিতা কর্মকার, সুনীতা মিস্ত্রিরা বলেন, “বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা এই পুকুর ব্যবহার করি। এই পুকুরে এভাবে বেআইনি নির্মাণ হতে দেব না। পুকুর বাঁচাতেই রাত জেগে সবাই মিলে পাহারা দিচ্ছি।” বাসিন্দারা জানান, পুকুরের কিছুটা সরকারি সম্পত্তি। বাকিটা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অংশের বহু শরিক রয়েছে। তাঁদের অনেকেই বর্তমানে মৃত। কেউ কেউ বাইরে থাকেন। মালিকপক্ষের তরফে পুকুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিই বাইরে থেকে লোক এনে এই নির্মাণ করাচ্ছে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্তরা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি। জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান সুকুমার হালদার বলেন, “খবর পেয়েই পুরসভার তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য স্তরেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।