রাজ্য মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী হতে চলেছেন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু, উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় এবং চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ।
সূত্রের খবর, শপথ গ্রহণের জন্য নতুন মন্ত্রীদের নাম ইতিমধ্যে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১.৩০ মিনিটে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা।
মন্ত্রিসভার নয়া সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, দফতর বণ্টনের বিষয়টি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করায় দমকল ও আবাসন মন্ত্রক ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সেইসব দফতরের দায়িত্বেই আনা হতে পারে নতুন সদস্যের অধিকাংশকে। উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার পর, তাঁর দফতরগুলি ভাগ করে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি আস্থাভাজন ববি হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাসের মধ্যে। ববি পান দমকল এবং অরূপের দায়িত্বে থাকে আবাসন দফতর। কিন্তু, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী থাকার পাশাপাশি কলকাতার মহানাগরিকের গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন ববি, ফলে তাঁর কাধ থেকে 'অতিরিক্ত' দায়িত্ব লাঘব করতে পারেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, রাজ্যের পূর্ত ও যুব কল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপর থেকেও 'অতিরিক্ত চাপ' কমানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর একদা অতি ঘনিষ্ঠ সুজিত বসু দীর্ঘ কাল আগে সিপিআই-এম ছেড়ে ঘাঁসফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। এরপর থেকে দলের হয়ে 'নিরলস' কাজও করে চলেছেন বিধাননগরের বিধায়ক। কিন্তু, এর আগে বহুবার তাঁর মন্ত্রীত্বের সম্ভবনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত আটকে গিয়েছে। তবে এবার তিনি 'পদ পেলেন'। অন্যদিকে, বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী তাপস রায়। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই তাঁকে ভরসা করেন বলে শোনা যায় দলের অন্দরে। বরানগরের বিধায়ক এবার সেই 'ভরসার দাম পেলেন' বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। এর পাশাপাশি, দলের চিকিৎসক সংগঠনে রীতিমতো হাঁকডাক রয়েছে নির্মল মাজির। তাঁকেও এবার মন্ত্রিসবার অন্তর্ভুক্ত করা হল।