West Bengal Assembly By Election Results: বিধানসভা উপনির্বাচনে মতুয়াগড়ে বড় সাফল্য তৃণমূলের। মতুয়া অধ্যুষিত রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে বাজিমাত শাসকদলের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল বিজেপি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনেও দুই কেন্দ্রে এগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে উলোটপুরান এবারের উপনির্বাচনে। জোড়াফুলের কাছে ধরাশায়ী পদ্ম শিবির।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই এবার চর্চা ছিল তুঙ্গে। এই কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করে মতুয়াদের সমর্থন কার দিকে যাবে তার ওপর। গত কয়েকটি নির্বাচনে মতুয়া ভোটের একটা বড় অংশ ঝুঁকেছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। তাই দলের অন্দরে চোরা-গোপ্তা তৃণমূলের মতুয়া অস্বস্তি একটা ছিলই। তবে বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জোড়াফুলের সেই সব উদ্বেগের যেন ধুয়ে মুছে অবসান হল। উপনির্বাচনের ফলে বিজেপিকে ধারে-কাছে ঘেঁষতে দিল না তৃণমূল।
বাগদা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছিল ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্না ঠাকুরকে। উল্টোদিকে বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিনয় কুমার বিশ্বাসকে। বিজেপি প্রার্থীকে ৩৩ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মধুপর্না ঠাকুর।
উল্টোদিকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনেও মতুয়া সমাজের বড়সড় প্রভাব রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে এগিয়েছিল বিজেপি। তবে উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। মতুয়াদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রেও জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী।
সব মিলিয়ে বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে মতুয়া সমাজের একটি বড় অংশের সমর্থন বিজেপির দিকেই ঝুঁকেছিল। NRC থেকে শুরু করে CAA নিয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ভালোমতো মতুয়া সমাজের মধ্যে প্রচারের চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। তবে কি ধীরে ধীরে এবার মতুয়া সমাজেও ব্রাত্য হতে শুরু করল BJP? উপনির্বাচনের ফলাফল কিন্তু সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, অন্তত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। মতুয়ারা বিজেপির থেকে মুখ ফেরাচ্ছে, উপনির্বাচনের এই ফল তার একটা প্রমাণ, এমনই বলতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। পাল্টা বিজেপিও ভোটের ফলের কাটাছেঁড়ায় শাসকদলকেই তুলোধনা করে সুর চড়াচ্ছে। "উপনির্বাচনে ভোটই হয়নি, গায়ের জোরে জিতেছে তৃণমূল।" খানিকটা এমন সুরেই এই হারের ব্যাখ্যা মিলেছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।