মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সল্ট লেকে তাঁর নিজস্ব বাসভবনে অচৈতন্য অবস্থায় আবিষ্কৃত হলেন অবসরপ্রাপ্ত একদা প্রখ্যাত আইপিএস অফিসার গৌরবচন্দ্র দত্ত (৬০)। সল্ট লেকের এএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গৌরববাবুর হাতের শিরা কাটা ছিল, যার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। অনুমান করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন গৌরববাবু। বুধবার তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি পদে থাকাকালীন প্রশাসনিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ফলে ২০১০ সালে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তার আগে তিনি অতিরিক্ত এসপি আসানসোল, এসপি বর্ধমান, এসপি মেদিনীপুর, এবং এসআরপি হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। ২০১৮ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন গৌরববাবু। মেদিনীপুরে ২০০০ সালের কেশপুরের রক্তাক্ত দিনগুলিতে জেলার এসপি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরী
এমএ, এলএলবি, এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী গৌরব দত্তের পিতা পদ্মশ্রী গোপাল দত্ত নিজেও ছিলেন ১৯৩৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। ১৯৫৮ সালে দিল্লিতে জন্ম হয় গৌরব দত্তের। দিল্লির মডার্ন স্কুল এবং হিন্দু কলেজে কাটে শিক্ষাজীবন। কিছুকাল সাংবাদিকতা করার পর আইপিএস হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৬ সালে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ডিআইজি (ট্রেনিং) থাকাকালীন আমূল পরিবর্তন আনেন অ্যাকাডেমির সিলেবাস এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়ায়। অ্যাকাডেমির জন্য নিশ্চিত করেন আইএসও র্যাঙ্কিং।
পিএইচডি শেষ করে ২০১১ সালে তিনি ইসকনের ভক্তি বৃক্ষ বিভাগে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেন।