RG Kar ED Raid: সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার সাতসকালে রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত রায়ের এই বাড়িতেই হানা দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে এনেছিলেন, সেই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতাও। সুদীপ্ত রায়ের বাড়ির পাশাপাশি ইডির আরেকটি দল বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে। পাশাপাশি হুগলিতেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির দল গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। শীর্ষ আদালতে সেই শুনানির কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযানে ইডি।
এর আগে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। তিনি রাজ্য সরকারের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি।
আরও পড়ুন আরজি করে খুন, 'কান' টেনে 'বড় মাথা' ধরতে 'সুপারপ্ল্যান' রেডি? CBI স্ক্যানারে কারা?
গত বৃহস্পতিবার বিধায়কের বাড়ি এবং বাড়ি লাগোয়া তাঁর নিজের নার্সিংহোমে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুদীপ্ত রায়। তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে সবরকম সহযোগিতা করবেন।
অভিযোগ নিয়ে কী বলেছেন সুদীপ্ত রায়?
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তোলেন আরজি করের যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত রায়। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক বলেন, '১৯৮৪ সালে তৈরি এই নার্সিংহোম। বাম আমলেও অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যেও এটিকে কষ্ট করে দাঁড় করাই। যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন। দেখে নিন আমি এমন কিছু কাজ করেছি কি না।'