RG Kar Case: আরজি কর মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত মামলার প্রথম দিনের শুনানিতেই কঠিন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আজ বিকেল তিনটের মধ্যেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে যেতে বললেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তা না হলে হাইকোর্টই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গতকাল সকালে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তবে তিনি ইস্তপা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবন। এই বিষয়টি নিয়েই এদিন বেজায় উস্মা প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, "সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁকে পুরস্কার দিয়ে বিকেলেই অন্য জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হলো। ইস্তাফার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ফেরত আনা হল? আপনি কি এতটাই পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার যদি নির্যাতিতার প্রতি কোনও সহানুভূতি না থাকে তাহলে আর কার থাকবে?"
আরও পড়ুন- রোগীদের কথা ভেবে…! আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি স্বাস্থ্য সচিবের, এড়িয়ে গেলেন সব প্রশ্ন
সেই সঙ্গে, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর কাছ থেকে তাঁর দেওয়া ইস্তফাপত্র এদিন দেখতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এর পরেই তার আরও সংযোজন, "আজ বিকেল তিনটের মধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলুন। তা না হলে এ ব্যাপারে আমরাই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেব।"
আরও পড়ুন- ন্যাশনাল মেডিক্যাল পড়ুয়া বিক্ষোভে মন্ত্রী-বিধায়ক, 'গো-ব্যাক' শুনে ফিরলেন জাভেদ-স্বর্ণকমল
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পর্যবেক্ষণ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়েই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যাপারে নয়া ভাবনা শুরু হয়েছে। রাজ্যের সব থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্র্যাক রিপোর্ট তৈরি করে জমা নেওয়ার কথা ভাবছে নবান্ন। যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামে লিখিত অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের স্ক্রিনিং করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য সরকারের স্ক্রিনিং কমিটিকে জমা দিতে হবে।