RG Kar Incident: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কোমর বেঁধে তদন্তের কাজও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে পাল্টা পথে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। ঠিক এই আবহে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
RG Kar Incident: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কোমর বেঁধে তদন্তের কাজও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে পাল্টা পথে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। ঠিক এই আবহে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
RG Kar Case-Kunal Ghosh: আরজি কর কাণ্ডে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। এখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ইস্যুতে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার আবেদন কুণালের। সেই সঙ্গে ভুল শোধরানোর বার্তাও কুণালের পোস্টে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানোটাও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের অন্যতম নেতা কুণালের এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা পাল্টা আক্রণ শানিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদকে।
Advertisment
এক্স হ্যান্ডলে কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?
"RGKar. আমরাও প্রতিবাদী। দোষী/দের ফাঁসি চাই। কিন্তু তৃণমূল ও বাংলার বিরুদ্ধে, শকুনের রাজনীতি বামরাম। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব রুখতে লড়াইতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সক্রিয়ভাবে সামনে চাই। আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে সঠিক পদক্ষেপে সব চক্রান্ত ভাঙতেই হবে।" এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে এই পোস্টটি করেছেন কুণাল।
নিজের এই পোস্ট সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে কুণাল ঘোষ বলেছেন, "আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মুখ্যমন্ত্রীও করেছেন। মমতাদি যেমন আমাদের নেত্রী, তেমনই আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদিই শেষ কথা। কুৎসিত মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায় বিচার আমরা সবাই চাই। কিন্তু বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে। এই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা সেই লড়াইয়ে আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সামনে চাই। মমতাদি যেমন নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রশাসন ও দলকে। তেমনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একজন কর্মী হিসেবে আমি সামনে চাইছি।"
তিনি আরও বলেন, "খুন কারা করেছে সেগুলো তদন্ত হোক, ন্যায় বিচার হোক। সন্দীপ ঘোষ দোষী না নির্দোষ আমরা কেউ জানি না। ছাত্র-ছাত্রীদের একটা ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। সঞ্জীববাবুকে তড়িঘড়ি ন্যাশনালে পোস্টিং করে দেওয়ার মতো কিছু সিদ্ধান্তে মানুষের আবেগে ধাক্কা লেগেছে। তাঁকে কিছুদিন স্বাস্থ্য দফতরের অন্য কোন কাজে রেখে যদি এত তাড়াতাড়ি একটা পদ দিয়ে দেওয়া না হতো তাহলে এত মানুষ ভুল বুঝতেন না। তাহলে সন্দেহের বাতাবরণ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। আমাদের দু'একটি সিদ্ধান্তে মানুষ ভুল বুঝেছেন। সেই সুযোগ নিয়েছে রাম-বাম।"
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু তুমুল জলঘোলা। BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, "মানুষ তৃণমূলকে নিয়ে আর ভাবছে না। তৃণমূল একটা কনসেপ্ট, যারা দখলদারিতে বিশ্বাস করে। এখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবেন না। একটাই রাস্তা তৃণমূলের বিসর্জন।"
CPM নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূলের অভ্যন্তরের রসায়নে মমতা ব্যানার্জি একাই সামনে থাকবেন নাকি অভিষেক সামনে এগিয়ে যাবেন, এটা তৃণমূলের চর্চা, মানুষের নয়। কুণালবাবু চিটফান্ডের সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি বলেছিলেন মমতা ব্যানার্জিকে। আবার তিনিই বলছেন মমতা ব্যানার্জি যা করেছেন তার চেয়ে ভালো কিছু কেউ করতে পারেন না। তাই কুণাল কী বললেন সেটা বড় কথা নয়। মানুষের লড়াইকে শকুনের রাজনীতি বলার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকেই অপমান করেছেন কুণাল ঘোষ। যারা সারারাত রাস্তায় ছিল তাঁদেরকে 'শকুনের মতো' বলার মধ্য দিয়ে কুণাল ঘোষ তাঁদের অপমান করলেন।"