RG Kar Medical College and Hospital Incident: প্রকাশিত হল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গলা টিপে, নাক-মুখ চিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
Advertisment
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। নিহতের মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নিহত চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট (হেমারেজ) বেঁধেছিল এবং শুধু তাই নয়, শরীরের আরও বিভিন্ন অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। নিহত চিকিৎসকের যৌন হেনস্থার প্রমাণ মিলেছে।
Abhaya-RG Kar: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভয়া। (এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ)
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতা চিকিৎসকের শরীরের বাইরে ১৬টি এবং শরীরের অভ্যন্তরে ৮টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, আঘাতগুলো 'অ্যান্টি মর্টেম' অর্থাৎ মৃত্যুর আগেই করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এই মৃত্যুর ধরন হল খুন। তবে বারবার অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার হাড় ভেঙে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াও সেই অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে হাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ নেই।
Advertisment
RG Kar-Demonstration: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্থল। (এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ)
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ওই পড়ুয়া চিকিৎসক খুন হন। তার পর থেকেই 'ন্যায় বিচার'-এর দাবিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য এমনকী ভিনদেশ থেকেও নির্যাতিতার হত্যার ঘটনায় 'বিচারের' দাবি উঠেছে। প্রথমে এই মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। তারই মধ্য়ে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা হাতে নিয়েছে।
প্রতিবাদীরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করেছেন। রাতের রাস্তায় মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে নানা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে অনেক নেটিজেনকে সমন পাঠানোও হয়েছে। এই মামলায় সিবিআই ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জেরা করেছে। তার আগে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রাই নামে এক সিভিককে এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করেছিল।