RG Kar Doctors Death: আরজি কর কাণ্ডে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানালেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। মৃত ছাত্রীর পরিবার চাইলে অন্য কোনও এজেন্সিও তদন্ত করতেই পারে, সাংবাদিক বৈঠক করে একথা আজ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার।
কী বললেন সিপি?
"তদন্তের ভিত্তিতে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। ধর্ষণ ও খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এটা যৌন নিগ্রহের ঘটনা। যৌন নিগ্রহের পর খুন। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের কোনও কিছু লুকানোর নেই। সবই স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। পরিবারের সব দাবি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। পরিবার অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে চাইলে আমাদের আপত্তি নেই। অপরাধী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেটা আমরা দেখব। এটা অতি ঘৃণ্য অপরাধ। তাই সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে হয় সেটা আমরা দেখব। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে। আশা করছি আরও তথ্য সামনে আসবে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় টালা থানায় খবর আসে। চেস্ট ডিপার্টমেন্টে এক মহিলার দেহ পড়ে আছে বলে খবর আসে। ময়নাতদন্তের জন্য তিন চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি করার সময় পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তরুণীর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পোশাকও ছিল অবিন্যস্ত। পুলিশ তদন্তে নেমে গতকালই একজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গিত থাকায় সঞ্জয় রায় নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তরুণীর রহস্যমৃত্যুর সঙ্গে সঞ্জয়ের যোগ রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
এদিকে, আরজি করে চিকিৎসক মৃত্যুতে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়। শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতেও জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন- RG Kar Doctor Death: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু, দুরন্ত তদন্তে পুলিশ কাকে ধরল জানেন?
একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ সঙ্গত। হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে। যেই হোক তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও শাস্তির আবেদন জানাব। রাজ্য সরকারের কোনও কিছু লুকানোর নেই। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু নক্কারজনক। বলেছি কেসটাকে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা দেখতে। জুনিয়র ডাক্তাররা দায়িত্ববান। তারা কখনও রোগীকে চিকিৎসা থেকে বিরত করে না। ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে এনে ফাঁসির আবেদন করা হোক। এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, রোগী পরিষেবা চালু করুন। এই ঘটনাটা ঘটেছে সেমিনার হলে। চারিদিকে সিসিটিভি আছে। যাকে ধরা হয়েছে তার ওখানে যাতায়াত ছিল। চাইলে অন্য এজেন্সি দিয়ে তদন্ত হোক। Cbi তদন্তে আপত্তি নেই।”