RG Kar Incident: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) কর্মরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় অবশেষে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আগেই এই দাবিতে সরব হয়েছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলল স্বাস্থ্য ভবন।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এবার মেডিকেল কলেজের সুপারকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার হলেন বুলবুল মুখোপাধ্যায়। এর আগেই হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। নিহত ছাত্রীর পরিবারও সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। সুপারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ পেয়ে এবার তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর।
সরিয়ে দেওয়া হল আরজি কর হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। তাঁর জায়গায় এবার সুপারের দায়িত্বে আনা হল বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। এতদিন স্টুডেন্ট অফ ডিন অ্যাফেয়ার্স ছিলেন বুলবুল। আরজি কর হাসপাতালের তদানীন্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে বদলি করা হয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে।
আরও পড়ুন- RG Kar Case: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুন, টানা জেরায় পুলিশের কাছে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ধৃতের
আরও পড়ুন- RG Kar Incident: পুলিশ-আন্দোলনকারীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার, চরম উত্তেজনা আরজি কর হাসপাতালে
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় এখনও বিন্দুমাত্র কমেনি ক্ষোভের আগুন। আজও হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। শহর কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকে সেই বিক্ষোভ সামিল হতে দেখা গিয়েছে অনেক জুনিয়র চিকিৎসককে। এছাড়াও এদিনও বিক্ষোভ চলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ অন্যত্র।
আরও পড়ুন- Hilsa: ইলিশপ্রেমীদের জন্য দারুণ আনন্দের বাম্পার খবর! কী জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা?
আরজি কর কাণ্ডের আঁচ ছড়িয়েছে রাজ্যের অন্যত্র। জেলায় জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিতে এখনও বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ডিউটি করা অবস্থায় তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনে ধৃত সঞ্জয় রায় নিজের দোষ কবুল করেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে আর ওজানা গিয়েছে টানা জেরায় কীভাবে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটাও পুলিশকে জানিয়েছে সঞ্জয়। তবে এখনও পর্যন্ত আরজি করের নৃশংস এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির যোগসূত্র এখনও মেলেনি বলে সূত্রের দাবি। তবে জেরায় সঞ্জয় কী জানিয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশের তরফেও এখনও বিশদে কিছু জানানো হয়নি।