RG Kar Protest and Kolkata Derby Cancellation: আরজি কর-কাণ্ডে ডার্বি বাতিলের পর ভয়ংকর অভিযোগ তুলল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে ডার্বি বাতিলের কারণ জানাতে একটি অডিও রেকর্ডিং শেয়ার করে পুলিশের দাবি, হামলার চেষ্টা চলছিল। এই সংক্রান্ত একাধিক অডিও ক্লিপ তাঁদের হাতে এসেছে। সেই সব ক্লিপ থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমায়েত করা এবং হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনার কথা শোনা গিয়েছে। তাই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার। তিনি জানান, রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। যা আসলে ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার সমতুল।
এদিন, অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ডার্বি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে শনিবারই ম্যাচ বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়। কারণ, 'বিচার চাই' স্লোগান মিলিয়ে দিয়েছে ময়দানের দুই প্রধানকে। তবে, ডার্বি বাতিল হলেও, টিকিটের দাম ফেরানোর কথা বলা হলেও ডার্বির দ্বন্দ্ব ভুলে ঘটি-বাঙাল সমর্থকরা একযোগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে মিছিলে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপরই জারি করা হয়, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা।
আরও পড়ুন আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা! ডুরান্ডের ডার্বি বাতিল, মারাত্মক অভিযোগে মমতাকে নিশানা মালব্যের
রবিবার সেই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করে দু'টি অডিও রেকর্ডিং শোনান বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। সাংবাদিক বৈঠকে শোনানো অডিও রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ওই অডিও রেকর্ডিংয়ের কথোপকথন অনেকটা এরকম- 'ছেলেরা যখন হাতে অস্ত্র নেবে! তখন দেখবে পুলিশ ঠান্ডা হয়ে যাবে। ওরা লাঠি চালালে আমরা চালাব অস্ত্র। দেখি কারা জেতে! অস্ত্র হাতে যেতে হবে। কোনও ভয় পেলে চলবে না।'
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল উঠলেই ভাঙার নিদান, আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদীদের হুঁশিয়ারি উদয়নের
বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ম্যাচ বাতিল করতে হয়েছে। আধিকারিকরা বলেন, 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আমাদের সমস্যা ছিল না। কিন্তু, আমাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য আছে যে, অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সেই জন্যই জমায়েত না করতে বলা হয়েছে।' শুধু একথা বলাই নয়। কমিশনারেটের তরফে যুবভারতীর আশপাশের চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন। আন্দোলনকারীরা তারপরও সেখানে মিছিল করে এসেছে 'We want justice' দাবি তুললে, তাঁদের আটক করা হয়।