RG Kar Doctor Murder: সুখেন্দুশেখরের পাশে এবার রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রবিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর জি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনার জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মঞ্চে এসে রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'সবাই সবার মতো করে আন্দোলন করছে, এটা এমন একটা ইস্যু সবাই সবার মতো করে বলছে অবশ্যই এ ঘটনাটিকে তাঁরা কী করছেন আমাদের সিবিআই দেখছেন। সকলেরই ডিমান্ড বিচার হোক, আজকে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা বিচারের দাবিতে বসে আছেন। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়ে রয়েছে।'
সাবিনা আরও বলেছেন, 'অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের বিরাট অংশ আজকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত আছে। নিশ্চয়ই তাঁরা চাইবে তাঁদের সহপাঠীদের নির্যাতনের তদন্ত হয়ে ফাঁসি হোক। যে যার অ্যাঙ্গেল থেকে বলছে আমরাও আমাদের অ্যাঙ্গেল থেকে আন্দোলন করছি। আমাদেরও যা মনে হচ্ছে আন্দোলন করছি কিন্তু সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে সিবিআই যখন আমাদের বিচার দেবে। আমরা চাই সিবিআই তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করে দিয়ে প্রকৃত তথ্য কী সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরুক এবং যারা অপরাধী তাঁদের ফাঁসি হোক।'
সাবিনা বলেছেন, 'এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা সাপোর্ট করছি না। আমি একজন মহিলা, আমি তা সমর্থন করতে পারি না। আমিও দুই কন্যাসন্তানের মা। আমি এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করতে পারি না। আমরা চাই কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হোক এবং এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, একটা পথ দেখাবে ভবিষ্যতে। কোন মেয়েও বা কোনও মহিলার যেন ধর্ষণের শিকার না হয়। যেন একবার ধর্ষণ করতে গেলে তার শরীর কাঁপে যে এমন একটা কড়া আইন হওয়া উচিত। এটা আমি মনে করি। সেটা হওয়া উচিত। সিবিআইকে বলব যে প্রকৃত তথ্য কী অবিলম্বে সামনে আনুক। কারণ, আমাদের দিদি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলেন যে রবিবারের মধ্যে যদি আমরা না পারি রাজ্য সরকার তাহলে আমরা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব।'
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে কলকতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর সেই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জোড়াফুলেরই নেতা কুণাল ঘোষ। তবে এরপরেও নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরছেন না বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে টেলিফোনে দেওয়া এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়ায় আরও একবার আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে সুর চড়াতেই সাঁড়াশি চাপে সুখেন্দুশেখর রায়! ডেকে পাঠাল লালবাজার
তিনি বলেছেন, “ভারতবর্ষের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে বাক স্বাধীনতা দিয়েছে। সুতরাং আমি যা বলার বলছি, আরেকজন যা বলার বলবে। প্রত্যেকেরই বাক স্বাধীনতা আছে। আমি আমার বক্তব্যে অনড় আছি। বাকিরা কে বললে সেটা তাঁদের জিজ্ঞেস করুন।”