Advertisment

বাজারে কমতে পারে চালের দাম, আশ্বাস খাদ্যমন্ত্রীর

লকডাইনের ঘোষণার সঙ্গেই চাল, মুড়ি, ডিম সহ নানা জিনিসের দাম লাফ দিয়ে বাড়তে থাকে। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বাজারে কমতে পারে চালের দাম

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ্যে খাদ্যদ্রব্য মজুত করতে শুরু করে আমজনতা। আতঙ্কে বস্তা বস্তা চাল, কেজি কেজি ডাল, ডিম সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিঃশেষ হতে থাকে মুহূর্তে। চাল, মুড়ি, ডিম সহ নানা জিনিসের দাম লাফ দিয়ে বাড়তে থাকে। এই সুযোগে বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারীও শুরু হয়ে যায়। কালোবাজারী রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও রাস্তায় নামতে হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের রাইস মিলগুলোতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই বাজারে চালের দাম কমতে থাকবে।

Advertisment

বন্য়া বা যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাল সবার আগে মজুত করতে বাধ্য হয় রাজ্যবাসী। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের সময় যথারীতি অধীকমাত্রায় চাল কেনার দিকে নজর পড়ে। যথেচ্ছ কালোবাজারীর ফলে চালের দর কেজিপ্রতি অতিরিক্ত ৫-৬টাকা দিতে বাধ্য হয়। অর্থাত ১০০ কেজির বস্তায় অতিরিক্ত ৫০০-৬০০ টাকা বাড়তি দিতে হয়।

আরও পড়ুন- করোনায় বাংলা যা করে দেখিয়েছে, তা একটা মডেল: মমতা

রাজ্য়ের খাদ্য়মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "রাজ্যে রাইস মিলগুলো খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩২৮টি মিল খোলা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে মোট ৮শো রাইস মিল রয়েছে। এর ফলে বাজারে চাল ঢুকলে চালের দাম নেমে যাবে। পাশাপাশি সরকারের কাছে যথেষ্ট চাল রয়েছে।" শুক্রবারও প্রশাসনিক পর্যায়ে রাইস মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।

শষ্য়গোলা বর্ধমানে রয়েছে তিনশোর ওপর ধানকল। লকডাউনের ফলে সমস্যায় পরেছে এই ধানকলগুলো। সরকার মিল খোলার নির্দেশ দিলেও শ্রমিক, পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা থেকে যায়। বর্ধমান ডিস্ট্রক্ট রাইস মিল অ্য়াসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত মন্ডল বলেন, "ইতিমধ্যেই জেলায় ১৯০টা রাইস মিল খোলা হয়েছে। কয়েকটা মিলে উৎপাদিত চাল রয়েছে। একশ শতাংশ উৎপাদনের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। মনিটরিং চলছে। তবে শ্রমিক, যানবাহনসহ কিছু সমস্যা রয়েছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Price Hike West Bengal
Advertisment