রামনবমীর মিছিল ঘিরে তীব্র অশান্তি রিষড়ায়, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আহত বিজেপি বিধায়ক

মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ram_Navami_Procession

রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি ছড়াল হুগলির রিষড়ায়। ইটবৃষ্টি থেকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ পড়ল না। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। অশান্তি চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে, বিজেপির বহু নেতা-কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, আগে থেকে মিছিলের কথা থাকলেও পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন।

Advertisment

ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানাতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি মিছিলের সামনের দিকে ছিলাম। আচমকা দেখি গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল। আমার গাড়ির সামনেও গন্ডগোল চলতে থাকে। বোমা পড়েছে। কারা বোমা মেরেছে কিছুই বুঝতে পারিনি। পুলিশের ওপর আস্থা রাখছি।' শ্রীরামপুরের বিধায়ক তৃণমূলের সুদীপ্ত রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'বাইরের লোকজন গন্ডগোল করেছে। এই এলাকা অত্যন্ত শান্ত। এখানে কোনও গন্ডগোল হয় না। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।'

এর আগে রামনবমীর দিন সংঘ পরিবারের মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দোকান থেকে বাড়িঘরে বেপরোয়া ভাঙচুর চলে। উন্মত্ত জনতাকে পুলিশ শান্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন গিরিরাজ সিং থেকে অনুরাগ ঠাকুরের মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তার মধ্যেই ঘটে গেল রিষড়ায় অশান্তি। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বিজেপি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছে। কারণ, বাংলায় যতই শান্তি আসবে, বিজেপি হারিয়ে যাবে।'

Advertisment

আরও পড়ুন- শিবপুরে হিংসা: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মোদীর মন্ত্রীর!

গোটা ঘটনায় নেটিজেনরা অবশ্য রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে আঙুল তুলছেন। নেটিজেনদের মত, রাজ্যে পুলিশ ও প্রশাসন যে ঠুঁটো জগন্নাথ, এই সব একের পর এক অশান্তিই তা প্রমাণ করে দিচ্ছে। হয়, পুলিশের কাছে আগে থাকতে খবর ছিল না। নতুবা তারা আগে থাকতে খবর পেয়েও হাত গুটিয়ে বসেছিল। আর তাই অশান্তি ঘটে চলেছে নানা জায়গায়।

tmc bjp Muslim Ram Navami