Advertisment

ঋত্বিককে নিয়ে গেরুয়া প্রচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ঘটক পরিবার

আজীবন ধর্মনিরপেক্ষ এবং মানবতাবাদী ঘটকের ফ্রেমে বরাবর উদ্বাস্তুদের জীবন যন্ত্রণার কথা প্রতিফলিত হয়েছে। এথচ সেই ছবির সংলাপ ব্যবহার করেই উদ্বাস্তুদরদী মনোভাব ফুটিয়ে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এর বিরোধিতা করেই ঘটক পরিবারের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ঋত্বিক ঘটক

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। বাংলাতেও তার আঁচ। এই অবস্থায় পাল্টা প্রচারে মরিয়া বিজেপি। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির পক্ষে প্রচারে ঋত্বিক ঘটকের একাধিক ছবির সংলাপ ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই গেরুয়া কৌশলের প্রবল বিরোধিতা করল ঘটক পরিবার। রাজনৈতিক কারণে ঋত্বিক ঘটকের ছবিকে ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকের পরিবারের পক্ষে থেকে।

Advertisment

publive-image ঘটক পরিবারের বিবৃতি।

আজীবন ধর্মনিরপেক্ষ এবং মানবতাবাদী ঘটকের ফ্রেমে বরাবর উদ্বাস্তুদের জীবন যন্ত্রণার কথা প্রতিফলিত হয়েছে। এথচ সেই ছবির সংলাপ ব্যবহার করেই উদ্বাস্তুদরদী মনোভাব ফুটিয়ে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এর বিরোধিতা করেই ঘটক পরিবারের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ঋত্বিকের বেশিরভাগ ছবিই ছিন্নমূল মানুষদের গভীর সমবেদনা থেকে উৎসারিত। বিশেষ কারণে যাঁরা উদ্বাস্তু হয়েছেন তাঁদের জন্য। তিনি আদ্যন্ত মানবাতাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ছিলেন। তাঁর লেখা বা চলচ্চিত্রের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তারা সবাই এটা জানতেন।'

আরও পড়ুন: ঋত্বিকের ছবিতে উদ্বাস্তুরা কি কেবলই হিন্দু?

একই সঙ্গে ঘটক পরিবার জানিয়েছে, যে নয়া আইনের দ্বারা নাগরিকদের নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে বা সংখ্যালঘুদের রাষ্ট্রপরিচয়হীন করে দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে, তার সমর্থনে ঋত্বিক ঘটকের ছবি ব্যবহার করা সমীচিন হবে না। ভারতীয় যুব মোর্চার পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হচ্ছে। অবিলম্বে অপপ্রচার বন্ধেরও আবেদন করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রত্নিদেব সেনগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'রাজনৈতিক কারণে নয়, মানবিক কারণেই তাঁর ছবিকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওঁরা ভুল বুঝছেন। ওঁর (ঋত্বিক ঘটক) মতো ব্যক্তিত্বকে অসম্মানের জন্য এটা করা হয়নি।'

bjp west bengal politics
Advertisment