নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হল হরিপাল। বোমা, গুলি ও চপারের আঘাতে রক্তাক্ত হল হুগলির পাঁটরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ঘটনার ভয়বহতায় শিউরে উঠেছে গ্রামের বাসিন্দারা। লুটের কাজে বাঁধা দেওয়ায় সোনার দোকানের মালিককে নৃশংসভাবে মেরে ফেলার প্রয়াসের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
ঠিক কী ঘটেছে হরিপালে?
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। হরিপাল থানার অন্তর্গত পাটরা গ্রামে সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকাই একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হানা দেয় ছ'জন দুষ্কৃতী। দোকানের মালিক বিমল সাঁতরাকে গান পয়েন্টে রেখেই সোনার দোকান লুটপাট শুরু করে তাঁরা। বাধা দিতে গেলে বিমলের হাতে ভোজালির কোপ মেরে তাঁর পাঁজর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এদিকে গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসে এলাকার লোকজন। দুষ্কৃতীরা সেই সময় বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোনার দোকানে এখনও টাটকা বোমার দাগ। ছবি- উত্তম দত্ত
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় বেনজির দৃশ্য, মন্দির পাহারা দিলেন মুসলিমরা, মসজিদে হিন্দু
স্থানীয় সূত্রে খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিমল সাঁতরাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লুঠের আগে কাছেই একটি দোকানে বসে তারা চাউমিন খায়। এরপর বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এগিয়ে আসে পুলিশ। রাতের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।