মায়ের মৃতদেহ আগলে কত দিন? রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া সল্ট লেকে

মৃতা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের  চিকিৎসক। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি মারা যান।

মৃতা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের  চিকিৎসক। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি মারা যান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এই সেই ২২০ বি

মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখার আরও একটি ঘটনা সামনে এল। এবার ঘটনাস্থল সল্ট লেক। বিই ব্লকের বাসিন্দাদের একাংশ রবিবার থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে পুলিশে খবর দেন। এর পর বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

Advertisment

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ি থেকে প্রবল দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে রবিবার। প্রতিবেশীরা বিধাননগর উত্তর থানায় খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে উদ্ধার করে ৭৫ বছর বয়সী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের পচা গলা মৃতদেহ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মৃতার ছেলে মৈত্রেয় ভট্টাচার্যকে।

আরও পড়ুন, অবশেষে সিআইডি-র জালে ভারতী ঘনিষ্ঠ সুজিত

প্রতিবেশীরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল ওই এলাকা থেকে। সে গন্ধ কিসের তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। রবিবার গন্ধের তীব্রতা চরমে ওঠায় পুলিশে খবর দিতে বাধ্য হন তাঁরা।

Advertisment

publive-image বাড়ির মধ্যে সর্বত্র সাঁটা বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও পরিচয়পত্র

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই ঘরে ঢুকে পচাগলা মৃতদেহের সামনে ছেলেকে বসে থাকতে দেখে। প্রতিবেশীদের দাবি, মৃতা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের ছেলে মৈত্রেয় মানসিক ভারসাম্যহীন। ঠিক কতদিন ধরে মৃতদেহ আগলে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম কথা বলছেন।

সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ির মা ও ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো ছিলো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বাড়িতে মা- ছেলে ছাড়া আর কেউই থাকতেন না। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছেলেটি নিজের ও অন্যর বাড়ির দেওয়াল ভাঙচুর করত। ভাঙচুর করার শব্দ পাওয়া যেত তাদের নিজেদের বাড়ির মধ্যে থেকেও।  জিনিসপত্র ছোড়ার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা নিজেদের বাড়ির সামনে প্লাস্টিক শিট ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। এদিনও বাড়ির মধ্যে ঢুকে দেখা যায়, সারা বাড়ির দেওয়ালে সাঁটা রয়েছে বিভিন্ন সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড সহ নানা নথি।

মৃতা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের  চিকিৎসক। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণা। তখন থেকে ছেলে মৈত্রেয়ই তাঁর দেখাশোনা করত বলে জানা গিয়েছে।