আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের বিতর্কে রাজ্য সরকার। অবসরপ্রাপ্ত আমলার ব্যক্তিগত মামলার ব্যয়ভার বহন করছে রাজ্য সরকার। বিপুল খরচের ভার নিয়েছে নবান্ন। তা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মমতা সরকার। গত সপ্তাহেও প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মামলায় এক বার এজলাসে দাঁড়ানোর ফি ২৫ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবের মামলার আইনি সহায়তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই মামলায় বেশ কয়েক বার আমলার হয়ে মামলায় দাঁড়িয়েছেন অভিষেক মনু সিংভি। প্রতিবারই তাঁর সেই ফি মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই খাতে এখনও পর্যন্ত খরচের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলেছেন, রাজ্যের কোষাগার কার্যত খালি। ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা কোষাগারের। এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটি এই অনুদানের আওতায় পড়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের টাকাও দিচ্ছে সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছেন না সরকারি কর্মীরা। তা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। এর মধ্যেই একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলার মামলার খরচ কেন বহন করছে রাজ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন ‘এবার থেকে ডবল চেকিং করা হবে’, ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ভুল স্বীকার করল নবান্ন
আধিকারিকদের একাংশ যখন খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সেখানেই আরেক অংশ বলছে, যখন এই আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত তখন রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন আলাপন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই কাজ করছিলেন তিনি। তাই তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়া রাজ্যের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, গত ২০ সেপ্টেম্বর অভিষেক মনু সিংভির পারিশ্রমিক বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এই পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা পদে রয়েছেন আলাপন। তাই তাঁর পাশে রয়েছে সরকার। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে খরচের বহর যে হারে বাড়ছে তাতে ক্ষোভ বাড়ছে প্রশাসনিক মহলে।