মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে ট্রেনে চেপে সোজা শালিমার স্টেশন! একেবারে অচেনা জায়গায় উদভ্রান্তের মত ছেলেটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় রেলপুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদেও সঠিক ভাবে কিছুই পুলিশকে জানাতে পারেনি সে। এরপর রেল পুলিশের তরফে ছেলেটিকে হাওড়া জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হাওড়া পুলিশ হন্যে হয়ে ছেলেটিকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সে সঠিক ভাবে কিছু না বলতে পারায় বারে বারে ধাক্কা খেতে হয় হাওড়া জেলা পুলিশকে। এরপর আদালতের মাধ্যমে হোমে ঠাই হয় বছর ১২-এর কিশোরের। বেশ কয়েকবার হোম থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়ে সে। বারে বারেই বাড়ি ফেরার করুণ আকুতি নাড়া দেয় হোম কর্তৃপক্ষকেও। ছেলেটি শুধু জানায় যে তার মায়ের মমতা মণ্ডল l হোম কর্তৃপক্ষ এরপর 'ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবকে' বিষয়টি জানায়।
ক্লাবের তরফে ছেলেটিকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া উদ্যোগ শুরু হয়। জানা যায়, আদালতে ছেলেটি তার যে নাম বলে সেটি সেটি সঠিক নয়l পাশাপাশি বয়সও ভুল। পরে জানা যায় ছেলেটির বাড়ি উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদার গ্রামেl হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। মা-বোনের সংসার। ছোট থেকেই বাবা বেপাত্তা। মা মমতা দেবী ওড়িশা পুলিশের হোম গার্ডে কর্মরত l রোজ কাজ জোটেনা। যেদিন জোটে সেদিনের পারিশ্রমিকই কেবল পান তিনি।
হ্যাম রেডিওর সদস্যরা ছোট ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে। হোম অথরিটি আইনি প্রক্রিয়ার পরই ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পেরে রীতিমত উচ্ছ্বসিত ক্লাবের সকল সদস্য।