২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে মুখরিত সল্টলেকের করুণাময়ী। বুধবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থার জন্য রুদ্র-রোষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে শততার সঙ্গে বাঁচতে চাওয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকার। যোগ্যদের চাকরির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের ১৪তলা থেকে টেনে নামাবে।'
রুদ্রনীল ঘোষের দাবি, 'টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা গরু, কয়লা, পাথর, চাকরির সিন্ডিকেটেনাম লেখায়নি। এঁরা শততার সঙ্গে তাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে শততার সঙ্গে বাঁচতে চাওয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকার। যোগ্যদের চাকরির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর পুলিশ পাঠিয়ে সত্যিকে দমনের চেষ্টা করছেন। মেয়ো রোডের মত এঁদের আন্দোলনও তোলার চেষ্টা হয়েছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের ১৪তলা থেকে টেনে নামাবে।'
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের দাবি, ২০১৪ সালের টেটে উত্তীর্দের আন্দোলন 'ন্যায্য নয়'। পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের বসতেই হবে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনের ফলে দফতরে কর্মীদের ঢুকতে অসুবিধা ও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ পর্ষদ। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে দ্রুত আর্জির শুনানি এ দিন খারিজ হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, '৮ বছর ধরে চাকরি নিয়ে হয়রানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভদ্র বাঙালির বাড়ির ছেলেমেয়ে এরা। আর পর্ষদ বলছে ওরা রাস্তা আটকাচ্ছেন। ওরা ৮ টা দিন বসে থাকতে পারবে? এদের জীবনের রাস্তা পর্ষদ আটকেছেন। পর্ষদ সভাপতি রাজনৈতিক দলের হয়ে গেছেন। পর্ষদের দুর্নীতির জন্য প্রতিটা মোড়ে মোড়ে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বসে রয়েছে। পর্ষদ সেটাকে আড়াল করতে চাইছে। পর্ষদ সভাপতি একটু মানবিক হন। অন্তত একটু সত্যি কথা বলুন। মিথ্যা কথা বলে চোখের জলের অভিশাপ নেবেন না। গৌতমবাবু নতুন এসেছেন, কিন্তু শুরু থেকেই বড়বাবুদের খুশি করে প্রমোশন নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।'
আরও পড়ুন- 'আদালতে যান', টেট আন্দোলনকারীদের বললেন ব্রাত্য, পর্ষদ সভাপতির মতোই রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ