শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গাপুজো। মহালয়ার দিন থেকেই ভিড়ে ঠাসা কলকাতার রাস্তা। সেই চেনা যানযট। শ্রীভূমিতে উপচে পড়া ভিড়। উৎসবের এই আনন্দকে চেটে পুটে উপভোগ করতে কোন খামতি রাখতে চাইছে না হুজুকে বাঙালি। ইতিমধ্যে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আর তার পর উৎসবের জৌলস যে আগের থেকেও বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এস বি পার্ক সার্বজনীন শহরের অন্যতম নজরকাড়া পুজোগুলির মধ্যে একটি। বরাবরই এস বি পার্ক সার্বজনীন তার সেরা উদ্ভাবনী ধারণা এবং নজর কাড়া শিল্প শৈলীর জন্য দর্শনার্থীদের পছন্দের তালিকার বেশ আগেই জায়গা করে নেয়। এবার এস সি পার্ক সার্বজনীনের থিম জন্য 'এলেম নতু্ন দেশে’। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর তাসের ঘর নাটকে ব্যবহার করেছিলেন এলেম নতুন দেশে শব্দটি। নাটকে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে এক নতুন সমাজ গড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সেই ধারণাকে বাস্তবায়িত করতেই এবারের পুজোর সেরা থিম ভাবনা এস বি পার্কের। সেই ধারণাই মণ্ডপের নকশা’য় ফুটে উঠেছে। এবারের পুজোর অন্যতম সেরা আকর্ষণ মন্ডপে রাখা হয়েছে ৬ফুট লম্বা একটি ধুপকাঠি। যেটি টানা জ্বলবে ৭২ ঘন্টা। যার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে সংলগ্ন এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
তৃতীয়াতেই এস বি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল। অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ী, যিনি এস. বি পার্ক সার্বজনীনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্লাবের সভাপতি সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “এস বি পার্ক সার্বজনীন প্রতিবারের মত এবারেও তার থিম ভাবনায় নিয়ে এসেছে অভিনবত্ব। এবারের পুজোর থিম তার এলেম নতুন দেশে। এবার আমরা ৫৩ তম বছর উদযাপন করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। যখন চারপাশের বিশ্ব রাজনীতি, ধর্ম, পুঁজিবাদ এবং জলবায়ু সংকটের কারণে প্রতি সেকেন্ডে সংকীর্ণ হয়ে আসছে, তখন এস বি পার্ক শৈল্পিক কল্পনার মাধ্যমে এক নতুন দেশের সন্ধান দিতে প্রস্তুত। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর তাসের ঘর নাটকে ভেদাভেদ মুক্ত জীবনের কথা বলেছেন। সেই ভাবনাকেই মন্ডপ সজ্জায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। পুজো মণ্ডপে পা রাখলে মনে হবে সমাজে নেই কোন বিভেদ”।