বুধবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দাবি ফুৎকারে ওড়ালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। বললেন, 'মোদী সরকার বাংলার প্রাপ্য আটকে রাখেনি। তথ্য দিতে চাইছিলাম বলেই পালিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা।' এছাড়াও বললেন
বাংলার মানুষের ১০০ দিন ও আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই বকেয়ার দাবিতেই মঙ্গলবার কৃষিভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে সঙ্গে করতে গিয়েছিলেন অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়করা। সঙ্গে ছিলেন বঞ্চিতরাও। ঘন্টা দেড়েক মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনের দফতরে বসলেও তৃণণূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। এরপরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে অনড় ছিলেন অভিষেকরা। যা নিয়ে তুলকালাম হয়। পরে পুলিশে টেনে, হিঁচড়ে তৃণমূল প্রতিনিধিদের দফতর থেকে বার করে দেয়। কেন সময় দিয়েও তাঁদের সঙ্গে দেখা করা হল না তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার কৃষিভবনে? বুধবার সেই নিয়েই মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। নস্যাৎ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অভিষেককে বাঁচাতেই ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্ত করেনি বাংলার সরকার'। কেন সময় দিয়েও তৃণণূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করলেন না মন্ত্রী? সাধ্বী নিরঞ্জনের জবাব, 'আমি ওদের সাড়ে ৬টায় আসতে বলেছিলাম। প্রথমে বলল ৫ জন আসবেন, তারপর তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছিলেন ১০ জন সাক্ষাৎ করবেন। আমি রাজি হয়েছিলাম। আরও পরে বললো বঞ্চিতদের নিয়ে ৪০ জন দেখা করবে। আমি তাতেও রাজি ছিলাম। শুধু বলেছিলাম 'আমি কিথু তথ্য দিতে চাই, বঞ্চিতদের সামনেই সেগুলো জানাবো। তথন তৃণমূলের নেতারা হলেন না বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলে পরে সেসব নিয়ে কথা হবে। ওরা তাতে রাজি হয়নি। তথ্য দিতে চাইছিলাম বলে পালিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা।'
সাধ্বী নিরঞ্জনের দাবি, 'বারবার দুর্নীতির অভিযোগে রিপোর্ট তলব করেও জবাব মেলেনি'। 'দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার জন্যই টাকা আটকানো হয়েছে।'
মঙ্গলবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিয়ানের ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের কাছেই বাংলার বঞ্চিতদের বকেয়া অর্থের দাবিপত্র তুলে দেওয়া হবে।