Advertisment

'কলকাতার যেখানে খুশি বসুক…', তৃণমূলের 'হোম গ্রাউন্ডে' এসে অভিষেকদের চ্যালেঞ্জ মোদীর মন্ত্রীর

সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে 'বহিরাগত, বিশ্বাসঘাতক' বলে কটাক্য তৃণমূলের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sadhvi Niranjan Jyoti clearly said Abhishek Banerjee and TMC leaders can sit wherever they wants in Kolkata for talk about dues , কলতকাতার যেখানে খুশি বসে তৃণমূলের সঙ্গে বকেয়া নিয়ে কথা বলতে পারি অভিষেকদের পাল্টা বললেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি।

পাল্টা চাপ বাড়াতে রাজভবনের সামনে লাগাতার ধর্নায় বসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ডে'র কেন্দ্রীয় বকেয়া সংক্রান্ত অভিযোগ ওড়ালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সঙ্গে ছুড়লেন চ্যালেঞ্জ।

Advertisment

'ওরা কথা বলবে না'

মোদীর মন্ত্রীর সাফ কথা, 'আমি সব তথ্য নিয়ে এসেছি। কলতকাতার যেখানে খুশি বসে তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে পারি। দরকারে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরেও বৈঠক হতে পারে। কিন্তু তৃণমূল বসবে না। ওরা কথা বলতে চায় না। ওরা নাটক চালিয়ে যেতে চায়।'

'পালানোর প্রশ্নই নেই'

বাংলার বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের আন্দোলনকেও 'নাটক' বলে কটাক্ষ করেছেন সাধ্বী জ্যোতি। জবাব দিয়েছেন তাঁকে নিশানা করে অভিষেকদের 'পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া' খোঁচারও। সাধ্বী জ্যোতির দাবি, 'তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র অসত্য কথা বলছেন। আমি প্রতিদিন কৃষি ভবনের ৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকি এবং বার হই। সে দিনও তা-ই করেছিলাম। পিছনের কোনও দরজাই তো নেই। তাই পালিয়ে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।'

'সতর্কতা সত্ত্বেও নির্বিকার'

মোদীর প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের তরফে মমতা সরকারকে চিঠি দিয়ে তা সতর্ক করা হয়েছিল। সেখানে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার নিষ্ক্রিয় ছিল।

'কোর্টে গেলেই বিপদে পড়বে মমতা সরকার'

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, কেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়ার দাবি নিয়ে আদালতে যাচ্ছে না তৃণমূল সরকার? সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির জবাব, 'ওরা জানে কোর্টে গেলেই আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে। ওরাই বেকায়দায় পড়বে। তাই যাচ্ছে না।'

তৃণমূলের জবাব

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পরই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল জবাব দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ, 'সাধ্বী নিরঞ্জন সাহসের সঙ্গে ঝাঁসি কি রানির চেতনাকে উস্কে দিয়েছেন, কাপুরুষের মতো পালিয়ে না যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু, হাস্যকরভাবে, হটাৎই ফেসবুক লাইভ হশেষ হয়ে গেল কেন? কারণ তিনি কানপুরের উড়ান ধরতে তাড়াহুড়ো করেছিলেন! এটি একজন বহিরাগত হিসাবে বাংলায় তাঁর সাধারণ সৌজন্য সফর! তিনি বুন্দেলখন্ডকে তাঁর শিকড় হিসাবে দাবি করতে পারেন, তাঁর আচরণ জয়াজিরাও সিন্ধিয়ার মতো, যিনি রানী লক্ষ্মীবাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।'

Sadhvi Niranjan Jyoti abhishek banerjee bjp tmc
Advertisment