আবারও বাংলায় এসে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। গত অক্টোবরে দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়তে পারে বলেই মমতা সমস্যা সমাধানে রাজি নয় বলে তোপ দেগেছেন।
বাংলার বকেয়া নিয়ে গত অক্টোবরে রাজধানীর বুকে ধর্না অন্দোলন করেছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে ধুন্ধুমার হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, সময় দিয়েও অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সাক্ষাৎ নিয়ে জোডা-ফুল নেতারা অনড় থাকলে তাঁদের দিল্লি পুলিশ সরিয়ে দিয়েছিল। পরে, পুজোর আগে কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড-ইন-কামান্ড।' সেই সময়ই কলকাতায় এসে তৃণমূলের ওই ধর্না নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মোদীর প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বিরতির পর বাংলায় দ্বিতীয় স্পেল খেলতে নামার অপেক্ষায় শীত, কবে থেকে?
প্রায় তিন মাস পর ফের পশ্চিমবঙ্গে এসে নিজের দাবিতেই অনড় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, 'সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে। তারপর বলল ১০ জন দেখা করবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন। আমি রাজি হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমার খুব কষ্ট হয়, আমি নিজের কাজ ছেড়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম বাংলার মানুষের ভালর জন্য। বাংলার মানুষের কথা ভাবা নয়, এদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ধরনা দেওয়া।'
সাধ্বীর কথায়, 'আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত।'
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা আদায়ে গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মমতা দিদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর ঠিক হয়েছিল যে, রাজ্য এবং কেন্দ্রের আধিকারিকরা বসে সমস্যা সমাধান করবেন। কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও কিন্তু উনি এখনও কেন এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন না আমি জানি না। হয়তো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে বলেই আলোচনায় বসতে চাইছেন না। আমরা টাকা দিতে প্রস্তুত। সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী জ্যোতির পাল্টা বাংলার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, 'সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি মিথ্যা কথা বলছেন। আমিও সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাধ্বীজির অফিসে গিয়েছিলাম। সেদিন চার ঘন্টা ধরে ওনার নাটক দেখেছি। পারলে আমাদের সামনাসামনি বসে যা বলতে চাইছেন সেগুলো উনি বলুন।'