সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি খোয়ালেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যা। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা সাহিনা সুলতানা। খানাকুলের মাইনানের বাসিন্দা সাহিনার চাকরি খোয়ানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের শাসকদলকে তুমুল আক্রমণ শানিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা।
অভিযোগ, ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েও বহাল তবিয়তে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা সাহিনা সুলতানা। সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ৬০৯ নম্বরে নাম রয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা সাহিনার।
আরও পড়ুন- চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, নজরদারিতে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী সাহিনা সুলতানা। এর আগে বাঁকুড়ার রাঙামাটি উদবাস্তু কলোনিতে চাকরি করেছিলেন তিনি। তারপর রাজহাটি বন্দর হাইস্কুলে চাকরিতে যোগ দেন। এদিকে, তাঁর চাকরি যাওয়া সম্পর্কে সাহিনা সুলতানা বলেন, 'বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই পরীক্ষা ছাড়াও ২০১৬ সালে আপার প্রাইমারিতেও পাশ করেছিলাম। তাহলে পুরোটাই তদন্ত করে দেখা হোক।'
অন্যদিকে, রাজহাটি বন্দর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নবেন্দু সামন্ত বলেন, 'উনি এই স্কুলে চাকরি করতেন। এটা তো শিক্ষা দফতর ও কোর্টের বিষয়।' সবমিলিয়ে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় দলের নেত্রীর নাম থাকায় তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল শিবির।
২০১৩ সাল থেকে সাইনা হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য হিসেবেই রয়ে গিয়েছিলেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ফের জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হন তিনি।