Advertisment

কার কথায় খুন? জয়নগর-কাণ্ডে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি তৃণমূল নেতা খুনে ধৃতের

খুনে অভিযুক্ত সাহরুল শেখকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sahrul Sheikhs confession in Jayanagar TMC Leader murder case

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ধৃত যুবকের।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত সাহরুল শেখের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। কার কথায় বামনগাছির তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোজাসাপ্টা উত্তর ধৃতের। মঙ্গলবার খুনে অভিযুক্ত সাহরুল শেখকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisment

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কী বলল খুনে অভিযুক্ত সাহরুল?

প্রশ্ন- কে খুন করতে বলেছিল?

উত্তর- নাসির, বড়ভাই।

প্রশ্ন- কত রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলে?

উত্তর- গুলি আমি চালাইনি। গুলি আমি চালাইনি। গুলি চালিয়েছে সইফুদ্দিন।

প্রশ্ন- কত টাকার 'অর্ডার' ছিল?

উত্তর- আমাকে কোনও টাকাই দেয়নি। টাকার কোনও কথা হয়নি। আমি খুন করিনি।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগের দিন রাতে বাইরে থেকে সাহরুল-সহ আরও কয়েকজনকে জয়নগরের বামনগাছির ওই এলাকার কোনও এক গোপন আস্তানায় এনে রাখা হয়েছিল। খুনের দিন ভোরে নাসির নামে এক ব্যক্তি সাহরুলদের নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত সাহরুল দিনে ফেরিওয়ালার কাজ করত। তারই সঙ্গে ফেরিওয়ালার কাজ করত 'বড়ভাই' বলে সম্বোধন করা ওই ব্যক্তিও। তবে নাসিরের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন- ঘরছাড়াদের বাধা, পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, সুজন-কান্তিদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি উর্দিধারীদের

অন্যদিকে, মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে ধৃত সাহরুল শেখকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, গতকাল জোড়া খুনের পর আজও উত্তপ্ত জয়নগর। দলুয়াখাকি গ্রামের ঘরছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে এদিন গিয়েছিলেন সিপিএমের নেতারা। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়িদের এদিন ওই গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়েছে সিপিএম নেতাদের।

আরও পড়ুন- চিকিৎসকের যুগান্তকারী উদ্যোগ! অতুলনীয় কীর্তি অনন্য এক উদাহরণ…

পরে আইসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীও এই গ্রামে ঢুকতে গেলে তাঁকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। নওশাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশের ভূমিকায় এদিন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতারা।

West Bengal Murder tmc
Advertisment