প্রায় ২৪ ঘন্টা পার, হকের চাকরির দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে লাগাতার অবস্থান-আন্দোলনে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। ইতিমধ্যেই করুণাময়ীর ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। আন্দোলনকারীদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য বারে বারেই আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ। তা না হলেই আইনানুগ পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। এর পাল্টা এবার আমরণ আনশন আন্দোলনের ঘোষণা করলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
Advertisment
রাতভর অবস্থানের পর এ দিন পুলিশ করণাময়ী থেকে আন্দোলনকারীদের সরতে বললে উত্তেজনা তৈরি হয়। খাবার, বোতল থেকে পানীয় জল রাস্তায় ফেলে টেট উত্তীর্ণ বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীরা অনশনের ঘোষণা করেন। রাস্তায় চকের মাধ্যমে নিজেরে কথা তুলে ধরেন তারা। হকের চাকরির নিয়োগ না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন-অবস্থান চলবে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
সোমবার দুপুর ২টো থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার সকালেও পর্ষদের দফতরের সামনে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ সালের বিক্ষোভকারী টেট উত্তীর্ণদের দাবি, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে তাঁরা অংশ নেবেন না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ, পয়েন্ট স্কোরে ২০১৭ সালের উত্তীর্ণদের থেকে ২০১৪ সালের পাস করা পরীক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন।
দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের নিয়োগের কথা ঘোষণাও করেছিলেন। প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, জানানো হয়েছিল পরে আরও কিছু পদে নিয়োগ হবে। অভিযোগ, তার পরে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি, উপরন্তু ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের যুগ্মভাবে ১১ হাজার পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালের প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসলে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। দাবি নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গেই কথা হয় আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি দলের। কিন্তু, তা সদর্থক না হওয়াতেই পর্ষদ দফতরের সামনে ধরনায় বসেছেন বিক্ষোভকারীরা।